স্টাফ রিপোর্টার
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মাঠপর্যায়ে সরব রাজনৈতিক দলগুলো। চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে, প্রার্থী ঘোষণার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। গতকাল বেলা তিনটার দিকে নেতাকর্মী নিয়ে আলমডাঙ্গার উদ্দেশ্যে এক বিশাল গাড়ি বহর বের হয়। প্রথমেই আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুর হরিতলা শ্রী শ্রী সার্বজনীন দুর্গা মন্দির পরিদর্শন করেন তিনি। পরে আলমডাঙ্গা পুরাতন বাজার শ্রী শ্রী সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরসহ সর্বমোট ৬টি পূজামন্ডপ পরিদর্শন করা হয়। প্রত্যেক মন্দিরে ৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়। সর্বশেষ চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার শ্রী শ্রী সার্বজনীন দূর্গা মন্দির পরিদর্শন করেন তিনি।
পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক এমপি শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে বহুদলীয় গনতন্ত্র ফিরে এসেছিল। তেমনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে গনতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়ীক রাস্ট্র গঠিত হবে। আপনারা নির্বিঘ্নে পূজা উৎযাপন করবেন। পুলিশ প্রশাসনসহ প্রশাসনের সর্বস্তরে আপনাদের সব সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সদা সচেষ্ট আছে। বিএনপি একটি পুরোনো ও শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। আমাদের মূল শক্তি হলো সংগঠন ও জনগণের আস্থা। প্রার্থী ঘোষণার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামবে, আর তখন নির্বাচনে বিএনপিই হবে বিজয়ী শক্তি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। ভোটাধিকার ফেরত চায়। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে চায়। বিএনপিই সেই গণতন্ত্র ও জনগণের আখাংকার প্রতীক। আগামী নির্বাচন হবে সেই পরিবর্তনের সুযোগ। দুর্গাপূজা উপলক্ষে মণ্ডপ ঘুরে দেখার সময় পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি আরো বলেন, বিএনপি নির্বাচন মুখি দল, কেন্দ্র অচিরেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন। জামায়াতে ইসলামী প্রায় ৭/৮ মাস আগে থেকে নির্বাচনী কৌশল চালিয়ে যাচ্ছেন, তারা সারাদেশে প্রার্থী মনোনয়ন করে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন, পিআর পদ্ধতির কথা বল্লেও এটা সংবিধান সংশোধন ছাড়া সম্ভব হবে না। আমরা বিশ্বাস করি অন্তবর্তি সরকার আগামী ২৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচন দেবেন।
পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল কাওনাইন টিলু, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামীম রেজা ডালিম, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মইনুল হোসেন, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদী, সদস্য আবু জাফর, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, সহ-সভাপতি আরিফুজ্জামান পিন্টু, সহ-সাধারণ সম্পাদক পিনু মুন্সী, সাবেক যুবদল নেতা ফারুক মল্লিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মকলেচুজ্জামান মকলেচ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুনজুরুল জাহিদ, সহ-সাংঠনিক সম্পাদক তৌফাকুর রিংকু, প্রকাশনা সম্পাদক জুয়েল রানা, বিজ্ঞান ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ওয়াহেদ আলামিন, সহ-কোষাধ্যক্ষ সাকিল আহমেদ শুভ, বন ও পরিবেশক বিষয়ক সম্পাদক আবু নোমান পাপন, সহ-দপ্তর সম্পাদক সোহেল রান, পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, শ্রুম বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিম আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সুজন, সোহেল রানা, ছাত্রদল নেতা শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন, বিএনপি নেতা রবিউল মল্লিক, ওয়াজিউর রহমান মানিক, শ্রমিকদল নেতা জয়নাল, সদর উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি আনিচ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক টোটন খান, জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি রানা হামিদ, সিনিয়র সভাপতি আরিফুল ইসলাম রনি, সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন, ইসলাম রতন, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেহালা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আসিরুল ইসলাম সেলিম, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক পিনু মুন্সি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল জাহিদ।