স্টাফ রিপোর্টার
সাহিত্যচর্চা আর জ্ঞান বিনিময়ের এক প্রাণবন্ত পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর ‘পদধ্বনি’-এর ১৫৮৬তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই দিন পরিষদ চত্বরে আয়োজিত হয় লেখক ও ইতিহাস গবেষক রাজীব আহমেদের একক বইমেলা। যেখানে তাঁর লেখা ১০৩টি বই প্রদর্শিত হয়। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টায় চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের নিজস্ব মিলনায়তন শহীদ আলাউল হলে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়। সাহিত্য আসরের সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি ইকবাল আতাহার তাজ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন অর্থ সম্পাদক মিম্মা সুলতানা মিতা।
আসরে অংশ নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন, খালেকুজ্জামান, লতিফা রহমান বনলতা, ডা. কামরুজ্জামান, আব্বাস উদ্দিন, গুরু কাজল মল্লিক, আবু নাসিফ খলিল, হুমায়ুন কবীর, বকুল মন্ডল ও মিম্মা সুলতানা মিতা।
পাঠশেষে লেখাগুলোর উপর আলোচনা করেন ইকবাল আতাহার তাজ, হুমায়ুন কবীর, আবু নাসিফ খলিল ও কাজল মাহমুদ। আসরে আরও উপস্থিত ছিলেনÑমর্জিনা খাতুন, আনছার আলী, মাহফুজুল হক জীবন ও গোলাম কবীর মুকুল। আসরের এক পর্যায়ে কুষ্টিয়ার প্রখ্যাত লালনসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীনের অসুস্থতার কথা জানানো হয়। তিনি বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। এ সময় তাঁর আরোগ্য কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন ও প্রার্থনা করা হয়। সাহিত্য পাঠ ও আলোচনা শেষে সভাপতি ইকবাল আতাহার তাজ সাহিত্যচর্চার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে ‘পদধ্বনি’ আসরের ১৫৮৬তম পর্বের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে, সাহিত্য পরিষদ চত্বরে লেখক রাজীব আহমেদ তাঁর লেখা ১০৩টি বই নিয়ে আয়োজন করেন একক বইমেলা। সাহিত্য অনুরাগীরা টেবিলে সাজানো বইগুলো আগ্রহ নিয়ে পড়েন ও সংগ্রহ করেন। বইমেলায় সর্বাধিক আগ্রহ দেখা যায় তাঁর লেখা চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস, চুয়াডাঙ্গা জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, এবং নীল বিদ্রোহের ইতিহাস বইগুলোর প্রতি।
রাজীব আহমেদ বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদে প্রতি সপ্তাহে কবি-লেখকদের সমাগম ঘটে। ভাবলাম, আমার লেখা বইগুলো নিয়ে এখানে বসি। যদি কেউ দু-চার কপি কিনে। কিন্তু আমি যা আশা করেছিলাম, তার চেয়ে অনেক বেশি সাড়া পেয়েছি। চুয়াডাঙ্গাবাসীর প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। পাঠকের হাতে নিজের লেখা বই তুলে দেওয়ার অভিজ্ঞতা বরাবরই বিশেষ ও আনন্দদায়ক।