স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে জনতার হাতে আটক হয়েছে প্রতারক চক্রের সদস্য রাশেদ (২৬)। গতকাল বুধবার বেলা ১২ টার দিকে সদর হাসপাতালের ভিতর থেকে তাঁকে আটক করে জনতা। আটককৃত রাশেদ দামুড়হুদা থানার দলকা লক্ষিপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
তার বিরুদ্ধে হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের কাছ থেকে বিভিন্ন রোগের পরিক্ষার নাম করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। পরে ভুক্তভোগীরা তাকে দেখতে পেয়ে আটক করে সদর থানার পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে।
অভিযোগকারীরা জানান, প্রতারক রাশেদ কয়েকদিন আগে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর কাছ থেকে রক্ত পরীক্ষার নাম করে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। পরে সে আরও কয়েক জন রোগীর কাছ থেকে একইভাবে রক্ত পরীক্ষার নাম করে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়।
জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা দুস্থ রোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন রোগের পরীক্ষার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রতারক রাশেদ নিজেকে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মী পরিচয় দিয়ে সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে একইভাবে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপি’র সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে কোন দালালের ঠাঁই হবে না। যারা এই প্রতারককে আটক করেছে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। অনেকেই নানান ভাবে প্রতারণা করে দলের নাম ভাঙ্গায় সেই দিকে সবাই সচেতন থাকবেন। কেউ যদি দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন প্রতারণা করার চেষ্টা করে তাহলে তাকে তৎক্ষণাৎ আটক করে আইনের হাতে তুলে দেবেন। আমরা একটি পরিচ্ছন্ন, প্রতারক ও দালালমুক্ত হাসপাতাল চাই।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জ খালেদুর রহমান বলেন, সদর হাসপাতালের ভিতর থেকে জনতার হাতে আটক হওয়া দালাল রাশেদ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। বাদি পক্ষ না থাকায় রাশেদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে রাশেদ সদর হাসাপাতালের বিভিন্ন রোগিদের কাছ থেকে দালালি করে। তবে দালাল রাশেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।