আলমডাঙ্গায় ভিডব্লিউবি চাল এক রেহেনার পরিবর্তে অন্য রেহেনাকে দেওয়ায় ইউপি সদস্য তোপের মুখে!

আলমডাঙ্গা অফিস

আলমডাঙ্গা উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য লিপি খাতুনের বিরুদ্ধে ভিডব্লিউবি (ভলনারেবল উইমেন বেনিফিট) কার্ডের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে জানা যায়, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কার্ডধারী রেহেনা খাতুনের নামে বরাদ্দকৃত চাল  ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক রেহেনা খাতুনকে বিতরণ করেছেন ইউপি সদস্য লিপি খাতুন। ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ১ সেপ্টেম্বর। ওইদিন জুলাই মাসের চাল বিতরণ করা হচ্ছিল। বিতরণ কার্যক্রম চলাকালে লিপি খাতুন নিজেই ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রেহেনা খাতুনকে সাথে করে এনে তার হাতে চাল তুলে দেন। কিন্তু চালপ্রাপ্ত রেহেনা খাতুন কার্ডধারী নন—এমন তথ্য জানাজানি হলে  ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। ভলনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি) প্রোগ্রামের আওতায় সরকারের পক্ষ থেকে দেশের অসচ্ছল নারীদের মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জামজামি ইউনিয়নের জন্য ৮৮টি ভিডব্লিউবি কার্ড বরাদ্দ হয়। স্থানীয়ভাবে অনলাইনে প্রায় ১৬০ জন আবেদন করলেও যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত তালিকায় ৮৮ জনকে নির্বাচন করা হয়।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, আবেদন প্রক্রিয়ার শুরুতে লিপি খাতুন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গঞ্জের আলীর মেয়ে রেহেনা খাতুনের নাম সুপারিশ করেছিলেন। তবে চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়নের সময়  ২ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাপ আলীর স্ত্রী রেহেনা খাতুনের নাম দেন। ফলে ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেহেনা খাতুনের নামেই ভিডব্লিউবি কার্ড অনুমোদিত হয়।

তবে চাল বিতরণের সময় ইউপি সদস্য  ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রেহেনা খাতুনকেই চাল দিয়ে দেন। পরে ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেহেনা খাতুনের ছেলে চাল নিতে গেলে তাকে জানানো হয়, “ভুল করে তোমার মায়ের নামে হয়ে গেছে, এখন চাউল পাবে না। ভবিষ্যতে কার্ড আসলে তার নামে করে দিব।” এ বক্তব্যে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়, যা পরে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে রূপ নেয়।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য লিপি খাতুন  বলেন, “আমি ভুলবশত নামের গড়মিল করেছি। কার্ডে যিনি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার পরিবর্তে আগের সুপারিশকৃত রেহেনাকে চাল দিয়েছি।” তিনি আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতে নতুন কার্ড এলে ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেহেনা খাতুনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব লিমন হোসেন বলেন, “চূড়ান্ত তালিকায় যেহেতু ২ নম্বর ওয়ার্ডের রেহেনা খাতুনের নাম রয়েছে, তার কার্ডের চাল অন্য কাউকে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *