মেহেরপুর অফিস
“প্রাণবন্ত হাসি, খেলাধুলার মাঠে দৌড়ঝাঁপ আর স্বপ্নভরা চোখ” সবকিছুই থেমে গেল মাত্র ষোলো বছরে। মেহেরপুর জেলা নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক ও মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুস্মিতা গত সোমবার দুপুরে ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রায় এক মাস আগে ভুলবশত অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় তার অসুস্থতা। যশোর ও ঢাকায় দীর্ঘ চিকিৎসা চললেও সুস্থ হয়ে ফের মাঠে ফিরতে পারলেন না তিনি। চিকিৎসকদের মতে, ঘুমের ওষুধের প্রভাবে কিডনিতে জটিলতা তৈরি হয়, আর সেই জটিলতার সঙ্গেই শেষ লড়াইটা হেরে গেলেন এই কিশোরী ক্রীড়াবিদ। হরিরামপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের নাতনি ছিলেন সুস্মিতা। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতিটি ক্ষেত্রেই তার ছিল অসাধারণ প্রতিভার ছাপ। বিশেষ করে ফুটবলে তার নেতৃত্বগুণ আর খেলায় দক্ষতা তাকে মেহেরপুর জেলা নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক হিসেবে পরিচিতি এনে দেয়। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে সবার চোখের মণি সুস্মিতা আজ নেই। হরিরামপুর গ্রামজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নানা আব্দুস সালাম জানান, “প্রায় এক মাস আগে ভুল করে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল সুস্মিতা। তারপর থেকে আশা করতাম ও ভালো হয়ে ফিরবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ফিরল না।”
মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই গতকাল মঙ্গলবার সকালে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।