স্টাফ রিপোর্টার
দীর্ঘ দুই দশক বিরতির পর বাংলাদেশ টেলিভিশনে আবারও সম্প্রচার করা হবে শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান নতুন কুঁড়ি। এরই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গায় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
এ সময় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণমূলক তথ্য পাঠ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতার বিষয় অভিনয়, নৃত্য ও সঙ্গীত এই তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি আবেদনকারী এই তিন বিভাগের যে কোন তিনটি বিষয়ে আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটি বিভাগের জন্য দুইটি শাখায় বয়স সীমা ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জন্য নির্ধারিত। ক শাখায় ৬ থেকে ১১ বছর এবং খ শাখায় ১১ থেকে ১৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। আবেদন গ্রহণের সময়সীমা ১৫ ই আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে এবং ৫ই সেপ্টেম্বরে আবেদন গ্রহণ শেষ হবে। তিনি আরো বলেন, নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতার অংশগ্রহণকারীদের আঞ্চলিক ভাষায় দেশব্যাপি ১৯ টি অঞ্চলে ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বর, বিভাগীয় বাছাই ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর, চূড়ান্ত বাছাই (ঢাকা পর্ব) ২রা অক্টোবর থেকে ২১ অক্টোবর, সেরা দশ (ঢাকা পর্ব) ২৯ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর, ফাইনাল (ঢাকা পর্ব) ২রা নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রতিযোগীগন বিনামূল্যে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত হতে টেলিভিশন ওয়েবসাইট থেকে ফর্ম সংগ্রহ করতে পারবে।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, জেলাব্যাপী সকলের মাঝেই প্রতিযোগিতার বিষয়টি ছড়িয়ে দিতে হবে। স্টেজ পারফরম্যান্স করা আর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা এক নয়। যারা প্রশিক্ষক আছেন আপনারা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবেন যেনো সবাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়া এই তিন জেলার প্রতিযোগীরা কুষ্টিয়া ভেন্যুতে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিযোগীরা অনলাইনের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারবেন এবং ভেন্যুতে গিয়েও আবেদন করতে পারবেন। এই বিষয়টি সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
পরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীর বৃদ্ধির লক্ষ্যে সভায় উপস্থিত সকলের মাঝে মুক্ত আলোচনা করা হয়। স্থানীয়ভাবে প্রচার ও প্রতিযোগী বাছাইয়ের জন্য ১০ সদস্য সংখ্যা বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের একটি খসড়া তালিকা করা হয়। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসার শিল্পী মন্ডল, জেলা জাসাসের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বিশ^াস, সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার আশফাকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুন্সি আবু সাঈফ, শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আফসান ফেরদৌসীসহ সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গরা।