চুয়াডাঙ্গায় অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেমে তথ্য সন্নিবেশ ও সংরক্ষণ সংক্রান্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার

চুয়াডাঙ্গায় অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেমে তথ্য সন্নিবেশ ও সংরক্ষণ সংক্রান্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কালেক্টরেট মসজিদের পেশ ইমাম ক্বারী কবীর আহমেদ। গীতা পাঠ করেন বাবু সুনীল মল্লিক। পরে অটোমেটেড ভূমি সেবা সংক্রান্ত কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম।

পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন ইউএনডিপির প্রকল্প ব্যবস্থাপক কামাল হোসেন। তিনি বলেন, অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেমে তথ্য সন্নিবেশ ও সংরক্ষণ সংক্রান্ত  কার্যক্রম আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করা হবে। দেশের প্রতিটি বিভাগ থেকে ১টি করে জেলা নিয়ে মোট ৮টি জেলায় ৩ মাস ব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হবে। আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও  অক্টোবর এই তিন মাসে প্রায় ৭০ লক্ষ ডাটা এন্ট্রি করা হবে। তিনি আরো বলেন, চলতি মাসের গত ১৩ তারিখে ভূমি উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ফেনী জেলায় দেশব্যাপী এই কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করা হয়।

বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার ৩৭৫ টি মৌজা আছে। প্রতিটি মৌজায় ৩ টি করে ক্যাম্প স্থাপন করে ডাটা এন্ট্রি করা হবে। জনসমাগম স্থান ও ভূমি অফিসের ডাটা এন্ট্রির জন্য ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।

এ সময় জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম বলেন, জায়গা-জমি যত অটোমেটেড তত সহজ হবে। সকল ব্যক্তিদের অটোমেটেড সফটওয়্যার এর সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। এতে করে সকলে ঘরে বসেই খাজনা দিতে পারবেন। অটোমেটেড ভূমি সেবায় তথ্য সন্নিবেশ ও সংরক্ষণ বিষয়ে সকল মসজিদের ইমাম ও শিক্ষকদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে অবগত করতে হবে। আজ  থেকে ৩ মাসব্যাপী এই কার্যক্রম শুরু হবে। সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তারা। ইউএনডিপির সহযোগিতায় এটি বাস্তবায়িত হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহমেদ মাহাবুব উল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জামাল আল নাসের, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম আশিস মোমতাজ, সহকারী কমিশনার এ.এস.এম আব্দুর রউফ শিবলু, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম সাইফুল্লাহ, ইউএনডিপি ডাটা ম্যানেজমেন্ট কর্মকর্তা আহমেদ কবীর, ইউএনডিপি চুয়াডাঙ্গা জেলা ব্যবস্থাপক মকবুল হোসেন,  চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজিব হাসান কচি, ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষক ও সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।

ইউএনডিপির সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকার কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছে। পাঁচ বছরের এ প্রকল্প ২০২৬ সালের জুন মাসে শেষ হবে। ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে এ প্রকল্প শুরু হয়। পাইলটিং কর্মসূচিভুক্ত ৮টি জেলার মধ্যে খুলনা বিভাগ শুধুমাত্র থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলা রয়েছে।  চুয়াডাঙ্গার ৪ টি উপজেলার ২৯ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ৩৭৫ টি মৌজা রয়েছে। হোল্ডিং রয়েছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩৮ টি এবং খতিয়ান আছে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৭০ টি। মোট ডাটা ১০ লাখ ১৪ হাজার ৯০৮ টি। একাজে  অন্য জেলা থেকে ৩২৯ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সাতটি ধাপে এ কাজ সম্পন্ন হবে। একটি সমন্বিত ও স্বয়ংক্রিয় ভূমি ব্যবস্থাপনার জন্য উন্নতমানের ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সফটওয়ার তৈরী এবং মাঠ পর্যায়সহ ভূমি ব্যবস্থাপনার সকল অফিসে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রতি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অধীনে ২ দিনব্যাপী ৩টি ক্যম্প পরিচালনা হবে। ক্যাস্পে আগত ভূমি মালিকগণের মোবাইল নাম্বার, এনআইডি নাম্বার ও হোল্ডিং এ অন্তর্ভুক্তকরণ । ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য মালিকদের  অনলাইন প্রোফাইল তৈরী করা। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *