জীবননগরে পিতার হত্যাকারী পুত্র রাজুর আদালতে আত্মসমর্পণ

জীবননগর অফিস

জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়নের মাধবপুরে মনিরুল ইসলাম ফেলা (৫০) হত্যাকারী পুত্র রাজু আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। গত বুধবার (৩০ জুলাই) আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাঁর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানায় জীবননগর থানার পুলিশ।

জানা যায়, গত শনিবার (২৬ জুলাই) জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে দুপুরে নিহত মনিরুল ইসলাম ফেলার স্ত্রী পাপিয়া খাতুন ( ৪০) ও পুত্র রাজু (২৬) হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনার দিন রাতেই নিহতের ভাই জহির বাদী হয়ে  জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলা করে এবং একই রাতে স্ত্রী পাপিয়াকে আলমডাঙ্গার বাঁশবাড়িয়া হতে জীবননগর থানা পুলিশ আটক করে পরদিন জেল হাজতে প্রেরণ করে।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে চার দিন পলাতক থাকার পর গত বুধবার (৩০ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ঘাতক পুত্র রাজু ।

মনিরুল ইসলাম ফেলার হত্যাকারী রাজু আত্নসমর্পণের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জীবননগর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন রাজু।  থানা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে একাধিক অভিযান চালায়। তবে তিনি বারবার জায়গা পরিবর্তন করাই তাকে ধরা সম্ভব হয়নি। পরিশেষে  তিনি বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, আত্মসমর্পণ করলেও আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, নিহত মনিরুল ইসলাম ফেলা(৫০)  উপজেলার গ্রামের দিদার উদ্দিন মন্ডলের ছেলে। একমাস আগে বালিহুদা গ্রাম থেকে উঠে এসে পার্শ্ববর্তী মাধবপুর গ্রামে জমি কিনে  স্ত্রীর পাপিয়া খাতুন কে নিয়ে বসবাস করছিলেন। পরবর্তীতে গত শনিবার (২৬ জুলাই) আর্থিক বিষয়কে কেন্দ্র করে স্ত্রী পাপিয়া খাতুন ও পুত্র রাজু দুজনে মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এরপর থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে এবং পর দিন গ্রামের কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *