ভোদুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মনোনীত হলেন তরিকুল ইসলাম

আলমডাঙ্গা অফিস

আলমডাঙ্গা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভোদুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে তরিকুল ইসলামকে মনোনীত করেছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। গতকাল বুধবার বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।

তরিকুল ইসলাম ছত্রপাড়া গ্রামের কৃতিসন্তান। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক চুয়াডাঙ্গা জেলা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সামাজিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং নৈতিক নেতৃত্ব এলাকার মানুষের মাঝে ইতোমধ্যেই ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

যশোর শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয় পরিচালনায় অভিজ্ঞতা, সততা, নেতৃত্বগুণ ও শিক্ষাবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁকে এ গুরুত্বপূর্ণ পদে মনোনীত করা হয়েছে। সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি এবং শিক্ষা বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভোদুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে একটি আদর্শ ও নৈতিকতা সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার লক্ষ্যেই আমি কাজ করবো। শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে আমরা একটি উন্নয়নমুখী ও মূল্যবোধভিত্তিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি, মেধাবিকাশমূলক কার্যক্রম চালু এবং প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার প্রসারে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমি বিশ্বাস করি, এই প্রতিষ্ঠান একদিন চুয়াডাঙ্গা জেলার রোল মডেল হিসেবে পরিচিত হবে।

এই মনোনয়নে ভোদুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, তাঁর নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির প্রভাষক শফিউল আলম বকুল বলেন, তরিকুল ইসলাম একজন সৎ, শিক্ষিত ও দায়িত্বশীল মানুষ। ভোদুয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে তাঁর মনোনয়ন সময়োপযোগী ও যথার্থ। আমরা আশাবাদী, তাঁর নেতৃত্বে বিদ্যালয়টি একটি মডেল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ও সচেতন নাগরিকরাও মনে করছেন, তরিকুল ইসলামের অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার ফলে বিদ্যালয় পরিচালনায় গতি আসবে। তিনি অতীতে সমাজসেবা, শিক্ষা উন্নয়ন এবং তরুণ প্রজন্মের মানসিক ও নৈতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষায় নতুন মাত্রা পাবে—এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *