স্টাফ রিপোর্টার
তেমন কোন আয়োজন ছিলো না, উল্লাস তো নয়ই। এরপরও থামানো যায়নি মাথাভাঙ্গা’র ৩৫তম
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন। দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ছিলো গত ১০ জুন। ঈদের ছুটি কাটিয়ে
আয়োজন করতে একটু বিলম্ব হলেও গতকাল শনিবার দৈনিক মাথাভাঙ্গা প্রধান কার্যালয় সকল ১০টা থেকে দুপুর
পর্যন্ত সাংবাদিক ও বিক্রয় প্রতিনিধিদের উপস্থিতি পুর্বপ্রস্ততি ছাড়াই মিলন মেলায় রূপ নেয়। মোবাইলফোনে
অসংখ্য ক্ষুদ্রবাতায় জানানো হয় শুভেচ্ছা। মূলত ১০ জুন অনেকেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানান। গতকাল
শনিবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চুয়াডাঙ্গা-১
আসনের সাবেক এমপি শামসুজ্জামান দুদু, জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফ উজ জামান সিজার, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ
সম্পাদক মোমিন মালিতাসহ অনেকেই। এ জয়ন্তীকে ঘিরে যেন এক অবিস্মরণীয় আনন্দলোকের সৃষ্টি হয়। এ যেন
অনিন্দ্য স্বর্গসুখের দ্যোতনা! সকলের একই প্রত্যাশা- মাথাভাঙ্গা হোক আরো বলিষ্ঠ, আরো সমৃদ্ধ। মিলন মেলায়
কেউ কেউ তাগিদ দিলেন, কলেবর বৃদ্ধির। কেউ কেউ বললেন সর্বস্তরের সাংবাদিকদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।
মাথাভাঙ্গা যেহেতু এখন যুবক, সেহেতু দায়িত্ব অনেক। সকল পাঠকই মাথাভাঙ্গার সাংবাদিক, পাঠকরাই মাথাভাঙ্গা
পরিবারকে সুপথে চলার অন্যতম পরামর্শক। অসংখ্য পাঠক, সুভানুধায়ী এবং বিজ্ঞাপনদাতা মাথাভাঙ্গা জন্মদিনে
শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি নতুন করে ব্যাক্ত করে মাথাভাঙ্গা পরিবারকে আরো সাহসী করে
তুলেছেন। মাথাভাঙ্গার তরফেও সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সহযোগিতার ধরা অব্যাহত রাখার পুন পুন
আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, মাথাভাঙ্গা সকলের সহযোগিতায় আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে চায়। সম্পাদক
প্রকাশক সরদার আল আমিন তার সহকর্মী তথা সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের দায়িত্বশীল হওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেন,
সুন্দর সমাজ গঠনে অগ্র সৈনিক হতে হলে নিজেকে স্বচ্ছ হতে হবে। সমাজকে কিছু দিতে হলে অবশ্যই অর্জন
করতে হবে। সঞ্চিত না থাকলে দান করা যায় না। ফলে পড়তে হবে। সাংবাদিকততায় বড় সঞ্চয় হলো পোড়া শোনা। ১৯৯১
সালের ১০ জুন থেকে যাত্রা শুরু করে দৈনিক মাথাভাঙ্গা এলাকার অসংখ্য পাঠককূলের সহযোগিতা নিয়ে দিপ্ত পায়ে
এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। সমাজ থেকে কুসংস্কা, সন্ত্রাস অনিয়ম দুর্নীতি দূর করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে
দিন, মাস, বছর গুণে পদার্পন করেছে ৩৫ বছরে। মাথাভাঙ্গার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসবে প্রয়াত প্রধান সম্পাদক
সাইফুল ইসলাম পিনু, মেহেরপুরের মহাসিন আলী, মোমিনপুরের সদরুর নিপুলসহ প্রয়াত সকল সাংবাদিকের
রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
দৈনিক মাথাভাঙ্গা” শুধু একটি পত্রিকার নাম নয়, এটি আমাদের অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, গৌরব এবং
সংগ্রামের এক প্রাতস্মরণীয় দলিল। প্রকাশের ৩৫ বছরে পদার্পন করলো পত্রিকাটি। এ দীর্ঘ ও দীপ্ত পথচলায় দৈনিক
মাথাভাঙ্গা এখন আঞ্চলিক ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। সেই সাথে পত্রিকাটির প্রধান সারথি প্রকাশক ও সম্পাদক
সরদার আল আমিন হয়ে উঠেছেন চুয়াডাঙ্গার ইতিহাস- ঐতিহ্যের প্রজ্জ্বলতম অংশ, দেশের আঞ্চলিক পত্রিকার
ইতিহাসে ধ্রুব তারকা। পত্রিকা জগতের সকল সমস্যা সঙ্কটে রক্তাক্ত জনপদের এ ধ্রুব তারকা সকলকে পথ দেখাবে।
দীর্ঘ পথচলায় মাথাভাঙ্গা একদিকে যেমন প্রকাশ্যে আলো ছড়িয়েছে, অন্যদিকে তেমনি অলক্ষ্যে বাঁধার বিন্দাচল,
যুগসঞ্চিত অন্ধকারও ভেদ করেছে সাহস, সততা ও দায়বদ্ধতার দীপ্তিতে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই মাহেন্দ্রক্ষণ শুধু স্মরণ ও
শ্রদ্ধার নয় এটি নতুন শপথের মুহূর্ত। এ প্রতিজ্ঞা যেন নতুন করে জেগে ওঠার, আবার নতুন আত্মবিশ্বাসে পথচলা
শুরুর। সবাই কায়মনে কামনা করেন প্রিয় সব্যসাচী সম্পাদকের কলম যেন অনিরুদ্ধ থাকে। কারণ এ কলম থেমে গেলে
কেবল একটি পত্রিকা নয়, একটা সময়, এক চেতনা, এক বিপ্লব স্তব্ধ হয়ে যাবে। তারা প্রত্যাশা করেন- সম্পাদকের
প্রিয় কলমের আঁচড়ে মাথাভাঙ্গা একটি সাহসী সকালের গল্প নিয়ে পাঠকের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাবে। তারা
বিশ্বাস করে- জীবন যেমন গল্প হয়ে ওঠে, তেমনি একদিন একটি পত্রিকাও হয়ে উঠতে পারে একটি সময়ের
আত্মজীবনী। দৈনিক মাথাভাঙ্গা শুধু কাগজে ছাপা কিছু শব্দ নয়, এটি চুয়াডাঙ্গার আত্মা, একটি অঞ্চলচেতনার
জীবন্ত ও প্রাতস্মরণীয় লিগ্যাসি। ৩৫ বছরের পথচলার জয়ন্তী পালিত হলো এমন এক আবেগে, যেখানে প্রতিটি
মুহূর্ত হয়ে উঠেছিল ইতিহাসের নতুন পঙ্ধসঢ়;ক্তি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপস্থিত সাংবাদিক ও শুভানুধ্যায়ীরা
প্রত্যয়দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করেন, আমরা আছি আপনার পাশে—শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়, এবং সকল সংগ্রামে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান কর্মসূচির প্রথমেই ছিল বর্ণাঢ্য আনন্দর্যালি। নন্দিত পত্রিকার অবিসংবাদিত
সম্পাদক সরদার আল আমিন ও আনন্দ উৎসবে অতিথি লার্ক ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ঐতিহ্যবাহী হুদা পরিবারের
প্রতিনিধি শরিফুল হুদা রুনুকে পুরোভাগে রেখে আনন্দর্যালি সড়ক প্রদক্ষিণ করে। একটু বিলম্বে শুরু হয়
মতবিনিময় সভা। দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশ সরদার আল আমিনের সভাপতিত্বে মঞ্চে প্রধান
অতিথি ছিলেন শরিফুল হুদা রুনু। অতিথি ছিলেন বার্তা সম্পাদক আহাদ আলী মোল্লা, প্রধান প্রতিবেদক
রফিকুল ইসলাম, সহসম্পাদক ফাইজার চৌধুরী, চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রাজিব হাসান কচি, সাধারণ
সম্পাদক বিপুল আশরাফ, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক প্রবীন সাংবাদিক আজাদ মালিতা, দৈনিক
সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, দৈনিক মাথাভাঙ্গার জীবননগর ব্যূরো প্রধান এমআর
বাবু, আলমডাঙ্গা ব্যুরো প্রধান রহমান মুকুল, দর্শনা অফিসের ব্যুরো প্রধান হারুন রাজু, প্রথম আলোর
প্রতিনিধি শাহ আলম সনি প্রমুখ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সরদার আলী আমিনকে ফুলেল অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করেন
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব, দৈনিক সময়ের সমীকরণ, দৈনিক আজকের খাসখবর, দৈনিক আজকের চুয়াডাঙ্গা
ও বাংলাদেশ বেতার, নাগরিক টিভি ও দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি হুসাইন মালিক,আলমডাঙ্গা
সাংবাদিক সমাজের পক্ষে সাংবাদিক ফিরোজ ইফতেখার ও প্রশান্ত বিশ্বাস।
প্রধান অতিথি শরিফুল হুদা রুনু তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, “চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকা দীর্ঘ
৩৫ বছর ধরে সবচে পাঠকপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। তিন যুগ ধরে পত্রিকাটির জয়যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। ঈর্ষণীয়
পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করে সারা দেশে আঞ্চলিক পত্রিকার জগতে দৈনিক মাথাভাঙ্গা শীর্ষ স্থান অক্ষুণ্ধসঢ়;ণ রেখেছে।
এটা অত্যন্ত আনন্দের। পত্রিকাটির সাথে জড়িত সাংবাদিকসহ সকলকে তিনি অভিনন্দন জানান। এবারের
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মত আগামীতেও তাদের পরিবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পত্রিকাটির সাথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত
করেন। তিনি বলেন, এই পত্রিকা কেবল সংবাদ দেয় না, এটি আমাদের স্মৃতি, আমাদের স্বপ্ন, আমাদের আত্মপরিচয়ের
প্রতীক।”

দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক আজাদ মালিথা বলেন, “দৈনিক মাথাভাঙ্গা হচ্ছে সেই কলম, যা
অন্ধকারে আলো জ্বালায়। আমরা এই পত্রিকার সঙ্গে আছি—যেমন পাহাড় থাকে নদীর পাশে।”
চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজিব হাসান কচি বলেন, “দৈনিক মাথাভাঙ্গা চুয়াডাঙ্গার গর্ব। দীর্ঘ
৩৫ বছর ধরে তারা নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করে চলেছে। এ অঞ্চলের মানুষের মুখপাত্র হয়ে উঠেছে
এই পত্রিকা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমি তাদের প্রতি অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাই।”
সময়ের সমীকরণ পত্রিকার সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন বলেন, “মাথাভাঙ্গা শুধু একটি পত্রিকা নয়, এটি একটি
আন্দোলনের নাম। নির্ভীক ও জনপক্ষের সাংবাদিকতায় তাদের পথচলা সত্যিই অনুকরণীয়। তাদের এই গৌরবময় যাত্রা
আরও দীর্ঘ হোক—এটাই আমাদের শুভকামনা।”
সভাপতি দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক সরদার আল আমিন বলেন, “এই পত্রিকা শুধু আমার স্বপ্ন নয়, এটা
আমাদের সকলের। মাথাভাঙ্গা থেমে গেলে থেমে যাবে একটা সময়, এক চেতনা, এক বিপ্লব। যত বাধাই আসুক,
আমরা লিখে যাব—সত্য, প্রতিবাদ আর প্রেমের ভাষায়।”তিনি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান সকল শুভানুধ্যায়ী ও
অতিথিদের প্রতি। বিশেষ করে সুইট এগ্রোভেট লি: ও লার্ক ইন্টারন্যাশনালের মালিক মঞ্জুরুল হুদা ও শরিফুল হুদার
প্রতি। তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দঘন মিলন মেলায় মেলার সঞ্চালক ছিলেন ক্রীড়া প্রতিবেদক ইসলাম রকিব। উপস্থিতির তালিকা
ছিলো অনেক লম্বা। একাত্তর টিভির প্রতিনিধি এমএ মামুন, একুশে টিভির প্রতিনিধি আতিয়ার রহমান, দৈনিক
আমাদের সংবাদের প্রতিনিধি রুহুল আমিন রতন, নাগরিক টিভির প্রতিনিধি হুসাইন মালিক, আনন্দ টিভির
প্রতিনিধি সোহেল সজিব, মোহনা টিভির প্রতিনিধি সাইফ জাহান, শিফট ইনচার্জ আলম আশরাফ, শামীম
রেজা, খাইরুজ্জামান সেতু, জহির রায়হান সোহাগ, শামসুজ্জোহা রানা, ইমরান হোসেন, মারুফ হোসেন, শেখ
রাকিব, হাসিবুল হাসান হাসিব, সজিব আহমেদ, ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি ইলিয়াস হোসেন, বেগমপুর
প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম, সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান জিয়া, আলমডাঙ্গা সহকারী ব্যুরো প্রধান
শরিফুল ইসলাম রোকন, ভালাইপুর প্রতিনিধি সাইদুর রহমান, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি অনিক সাইফুল, খাদিমপুর
প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম, বাড়াদী প্রতিনিধি ইকলাচ উদ্দীন, দর্শনা অফিসের ব্যুরো প্রধান সহকারী ব্যুরো
প্রধান হানিফ মণ্ডল, নেছার আহমেদ, দামুড়হুদা প্রতিনিধি মিরাজুল ইসলাম, তাছির আহমেদ, মো. শাহাবুদ্দীন,
কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি হাসমত রেজা, কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি শরিফ রতন, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
মোস্তাফিজ কচি, জীবননগর সহকারী ব্যুরো প্রধান সালাউদ্দীন কাজল, আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি নায়ায়ন
ভৌমিক, হাসাদাহ প্রতিনিধি আলামিন, গাংনী প্রতিনিধি মাজেদুল হক মানিক, মেহেরপুর প্রতিনিধি
তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, মেহেরপুরের বারাদী প্রতিনিধি হামিদুল ইসলাম, আমঝুপি প্রতিনিধি সেলিম রেজা,
গাংনী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম, রাকিব হোসেন, আবুল হাসেম, ঝিনাইদেহর ডাকবাংলা
প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দীন সেতু, বাজার গোপালপুর প্রতিনিধি মনজুরুল আলম, কম্পিটার অপারেটর সোহেল
তানভীর, আমিনুল ইসলাম, সার্কুলেশন ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন, আলমগীর হোসেন, রিপন মিয়া, চুয়াডাঙ্গা
প্রেসক্লাবের অফিস সচিব শাহিন আলী, প্রেস অপারেটর মানিক মিয়া, সহকারী প্রেস অপারেটর মো. রাসেল,
সুজন আলী, আনোয়ারুল ইসলাম লিল্টন, আব্দুল্লাহ আল আকাশসহ অনেকেই। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন দৈনিক
মাথাভাঙ্গার জেনারেল ম্যানেজার আখতার সিদ্দিক পিণ্টু। দৈনিক মাথাভাঙ্গা যেমন সকলের সহযোগিতায় দিপ্ত পায়ে
এগিয়ে যাচ্ছে, হাটিহাটি পা করে যুবক হয়ে নিজস্ব মেরুদণ্ডে শক্ত করে দাঁড়িয়েছে, তেমনই তার
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটিও সকল সহকর্মীর সম্মিলিত প্রচেস্টায় পূর্ণতা এনে দেয়। আয়োজনে বিক্রয়
প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রায় সকলেই উপস্থিত ছিলেন। মধ্যাহ্নভোজ: মধ্যাহ্নে সকল অতিথি অংশ নেন হৃদ্যতা ও হাসির
বিনিময়ে সম্পন্ন এক মধ্যাহ্নভোজে। খাবারের গন্ধে যেমন তৃপ্তি ছিলো, তেমনি কথার জালে ছিল অনন্ত
ভালোবাসার বিনিময়।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যেন ছিলো নতুন সূচনার শপথ। এই দিনটি কেবল স্মরণীয় নয়, ছিল নতুন আলোর শপথেরও।
মাথাভাঙ্গাকে দেশের আঞ্চলিক সাংবাদিকতার সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে সৃষ্টির শপথ। সবাই দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
“আমরা থাকবো মাথাভাঙ্গার পাশে ভালোবাসায়, শ্রদ্ধায়, সংগ্রামে।” শেষ হলো দিনটি—চোখে জল, মুখে হাসি
আর হৃদয়ে নতুন ভোরের দীপ্তি নিয়ে।