ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধ ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি। জেলার সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রান্তিক ভূমিতে গড়ে তোলা হয়েছে এ বনায়ন। এসকল বনায়ন এলাকার জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ এসএফএনটিসি’র আওতায় প্রায় ২০০ কিলোমিটার সামাজিক বনায়নের আওতাধীন বাগান রয়েছে। যা পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণের সাথে সাথে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছে। শুধুমাত্র ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জ সড়কের ৬ লেন উন্নয়ন প্রকল্পে ঝিনাইদহ অংশে ৬টি সামাজিক বনায়নের আওতায় ২১ কিলোমিটার সৃজিত বাগানের গাছ ৯৫,১৬,৬৯৫/- টাকা বিক্রয় করা হয়েছে। বিক্রয় লব্ধ অর্থের ৮০% শতাংশ টাকা ৭৬,১৩,৩৫৬/- ইতিমধ্যে বনায়নে সম্পৃক্ত উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও ঝিনাইদহ- মাগুরা, ঝিনাইদহ- কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ- চুয়াডাঙ্গা সড়কসহ অসংখ্য সংযোগ সড়ক ও জিকে প্রকল্পের সেচ খালের উভয় পাড়ের দৃস্টিনন্দন সামাজিক বাগানে কোটি কোটি টাকার বনজ সম্পদ সৃস্টি হয়েছে। এ সকল বনায়ন গুলো এলাকার পরিবেশ শীতলসহ অসংখ্য পাখি ও প্রাণী আশ্রয়স্থল হিসাবে বেছে নিয়েছে।ঝড়-ঝঞ্জাসহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে সামাজিক বনায়ন ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
আব্দুর রহমান নামে এক উপকারভোগী বলেন, সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় বন বিভাগের পরামর্শে আমরা ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের পাশে কিছু গাছ লাগিয়েছিলাম। গাছগুলো বড় হয়েছিলো। সড়কের ৬ লেনের কাজের জন্য গাছগুলো কাটা হয়েছে। গাছ বিক্রির টাকা বন বিভাগ আমাদের দিয়েছে। এতে আমরা আর্থিকভাবে অনেক উপকৃত হয়েছি।
ঝিনাইদহ বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় ঝিনাইদহের অসংখ্য সড়ক ও জিকে সেচ প্রকল্পে প্রায় ২০০ কিলোমিটার বাগান রয়েছে। যেগুলোর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। এছাড়াও এ বনায়ন সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে বলে জানান তিনি।



