দর্শনা অফিস
গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহি লোকসংস্কৃতিসহ অন্যান্য সংগীত ভুবনের আলো ছড়িয়ে যিনি আলোচনায় এসেছেন তিনি হলেন আমাদের জেলার সুপরিচিত মুখ দর্শনার কৃতি সন্তান মনিরুজ্জামান ধীরু বাউল। রোববার ছিল তার সংগীত প্রতিযোগীতার ১৮ বছর অর্থাৎ দেড়যুগ পুর্ণ করলো। এ বিষয়ে জেলার একমাত্র লোকজ সাংস্কৃতিক সংগঠন বাউল পরিষদের আয়োজনে আলোচনা ফুলেল শুভেচ্ছা ও মিস্টিমুখ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সিনিয়র সদস্য আনসার আলিশাহসহ সংগঠনের সকল কর্মিরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান
তিনি প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমাদের জেলার কৃতি ব্যাক্তি ধীরু বাউল বার বার চুয়াডাঙ্গা বাসির জন্য বিরল সম্মান বয়ে আনে। এ জন্য সম্মানিত মানুষদের সম্মান করলে নিজেরাও সম্মানিত হওয়া যায়। আমাদের বড় ভাই ধীরু বাউল জেলাসহ আমাদের এ জনপদকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে মেলে ধরছে, সংগীতের আলোর ভুবন তৈরি করার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে, সংগীতের আলো ছড়িয়ে অশ্লিলতা বর্জন করার লড়াই করে যাচ্ছেন। আমরা তাকে শুভ কামনা জানায়। ফাইনাল প্রতিযোগীতার দিনের স্মৃতি ধরে আলোচনা করেন আসিব চান্দু। পরে দক্ষিন আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন মান্ডেলা শান্তি পুরস্কারে ভুষিত হওয়ায় ধীরু বাউলকে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
উল্লেখ, গত ২০০৭ সালে জার্মান দুতাবাস ও পল্লিবাউল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে লালন ও বাউল শিল্পী বাছাই প্রতিযোগীতায় বিচারকদের মন জয় করে ধীরু বাউল সারা দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থাান অধিকার করে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার লালন ভুমি তথা চুয়াডাঙ্গা জেলা বাসির মুখ উজ্জল করে সগৌরবে জন্মভুমিতে ফিরে আসেন। ধীরু বাউল এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনের লোকসংগীতে শিল্পী, শিল্পকলা পদক, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার সম্মাননা, আসামের লোকসংগীত পুরস্কারসহ দেশীয় বহু পুরস্কারে ভুষিত হয়েছেন। এ সময় সংগঠনের সিনিয়র সদস্য রাহাত আলি, ইয়ারব হোসেন। মনিরুদ্দিন, রমোজাম্মেল হক, পিন্টু শাহ, নিজাম উদ্দিন, সাইদুর রহমান, মোমিনুল হক, সোহেল আহম্মেদ, মেহেদি হাসান, রমজান আলি, আঃ ছাত্তার,বিল্লাল হোসেন, জাকারিয়া, কদর আলি, চান্দু মিয়া, মতিয়ার রহমান, ইজাজুল হক, আজান মন্ডল, সাইদুর রহমান, সুজন স্বপন, সাহিন, নাজিম আলি, মনু মিয়াসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
দর্শনায় ধীরু বাউলের সংগীত প্রতিযোগিতার ১৮ বছর ও নেলসন মান্ডেলা শান্তি পুরস্কার অনুষ্ঠান
