ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ চুয়াডাঙ্গার জ্যোতির মরদেহ উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক

গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেটে মহাসড়ক পাশে ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ সেই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।

নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উদ্ধার অভিযানের তৃতীয় দিনে হোসেন মার্কেটের বাস্তুহারা এরশাদনগরের বিল থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহীন আলম।

তিনি বলেন, ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী ২০ সদস্যের দল ম্যানহোলের ভেতর নিখোঁজ ওই নারীর সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। পরে মঙ্গলবার সকালে হোসেন মার্কেটের বাস্তুহারা এরশাদনগরের বিলের মধ্যে থাকা কচুরিপানার নিচ থেকে নিখোঁজ ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত ওই নারীর নাম ফারিয়া তাসনিম জ্যোতি। তিনি মিরপুরে বসবাস করে নিকুঞ্জ এলাকার ম‌নি‌ ট্রেডিং ক‌র্পো‌রেশনে ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার হি‌সে‌বে কর্মরত ছি‌লেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত মৃতের চাচাতো ভাই শেখ রবিন ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করেছেন।

গত রোববার রাত সোয়া ৮ টায় টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় স্থানীয় ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ওষুধ বিপণনের কাজে এসেছিলেন তাসনিম জ্যোতি। বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ায় হঠাৎ অসাবধানতাবশত হাসপাতালের সামনে ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে যান তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট রাত দেড়টা পর্যন্ত তাদের উদ্ধার অভিযান চালায়। বৈরী আবহাওয়ায় উদ্ধার কাজ স্থগিত রেখে পরদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ফের উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ প্রশাসন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের হোসেন মার্কেট থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ড্রেনের ঢাকনা খুলে তল্লাশি চালায় ফায়ার সার্ভিস। এক পর্যায়ে গাজীপুরা এলাকায় বিল ও জলাশয়ে উদ্ধার অভিযান চালায় ডুবুরিরা। পরে সোমবার সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত রেখে চলে যায় ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার সকালে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হলে গাজীপুরা এলাকায় একটি বিলে কচুরিপানার নিচে তাসনিম জ্যোতির মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

দুর্ঘটনার তদন্তে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সেবা প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৭ কর্মদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *