জীবননগর অফিস
জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত বুধবার রাত দশটার দিকে গৃহবধূ বাদী হয়ে জীবননগর থানায় তিনজনের নামে ধর্ষণ মামলা করেন। আসামিরা হলেন আন্দুলবাড়িয়ার তৌহিদুল ইসলামের পুত্র জাহিদ হাসান তুষার (২৪), মৃত মন্টু মিয়া পুত্র তৌহিদুল ইসলাম (৫৫) এবং দর্শনা থানার সুজায়েতপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম (২৮)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূর ২০১৮ সালে আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের কাজী আব্দুল গনির ছেলে কাজী আসাদ মুন (২৮) এর সাথে বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাদের চার বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিবাহের পর থেকে একই এলাকার তৌহিদুল ইসলামের পুত্র জাহিদ হাসান তুষার তাকে বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল এমনকি প্রতিনিয়ত তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে রাতের আঁধারে জানালা দিয়ে শরীরে হাত দেয়ার ঘটনা ঘটাতে থাকে। আর এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বিচার সালিশ হওয়ার পরেও সে নিজেকে পরিবর্তন করেনি। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার (১৭ই জুলাই) তার ছোট বোন যুথির বাসায় যাওয়ার পথিমধ্যে আসামিরা তাকে অপহরণ করে চুয়াডাঙ্গার জাফরপুর গ্রামে মাঠের মধ্য একটি বাড়িতে নিয়ে যেয়ে জাহিদ হাসান তুষার তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এদিকে ওই একই রাতে তার স্বামী কাজী আসাদ মুন তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। এরপর তুষার তাকে জোরপূর্ব বিয়ে করে এবং চুয়াডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় রেখে দেয়। তারপর গত সোমবার (২১ই জুলাই ) ভোর ৫টার দিকে তার দ্বিতীয় স্বামী ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে সে বাবার বাড়ি চলে আসে। পরে ২৩ জুলাই জীবননগর থানায় উপস্থিত হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
এদিকে এলাকার সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধুর সাথে তুষারের দীর্ঘদিনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। এরই ধারাবাহিকতাই তারা দুজনে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। আর এ খবর শোনা মাত্র তার প্রথম স্বামী কাজী আসাদ মুন তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। পরে তার দ্বিতীয় স্বামী তুষারও তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিলে সে নিরুপায় হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করে।
আর এ বিষয়ে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, গৃহবধূ থানায় উপস্থিত হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও বিষয়টি তদন্তপূর্বক পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।