বাঁকা (জীবননগর) প্রতিনিধি
জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের করুন দশা। ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠ দান। খসে খসে পড়ছে সিলিং এর প্লাস্টার। বাইরের বৃষ্টি পড়া শেষ হলে শুরু হয় শ্রেণি কক্ষের ছাদ দিয়ে জল পড়া। স্কুলের খেলার মাঠে জমে থাকে হাটু পানি। তিন কক্ষের একটি ভবন অনেক আগেই পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রেণি কক্ষ চরম সংকট। এমন ভাবে চলছে হাসাদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রম।
জীবননগর উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাসাদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটি ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে তিনশতাধিক ছাত্র ছাত্রী লেখাপড়া করে। বিদ্যালয়ে একটি ছাদের ও একটি টিনশেডের বিল্ডিং এ পাঠদান কার্যক্রম চলে। শ্রেণি কক্ষের সিলিং এর পলাস্টার খসে খসে পড়ে। অনেক সময় শিক্ষার্থীদের মাথায় পড়ে আহত হয় আবার পোশাক নষ্ট হয়। ছাদ দিয়ে পনি পড়ে। টিন সেডের বিল্ডিং এর টিন দিয়ে পানি পড়ে।
বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষের সংকট সমাধানের জন্য প্রধান শিক্ষক নাসরিন পারভীন গত ০১.১২.২০২১ তারিখে ৬ কক্ষের একটি ভবন নির্মাণের জন্য মহাপরিচালক বরাবর একটি আবেদন করেন। খেলার মাঠ থাকলেও শিক্ষার্থীরা খেলা করতে পারে না মাঠে। খেলার মাঠ নীচু এবং পান জমে থাকে।
বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সাজিদ হাসান বলে, আমরা যখন ক্লাস রুমে থাকি সিলিং এর প্লাস্টার খসে খসে আমাদের শরীরে পড়ে। বৃষ্টি হলেই সিলিং রসে রসে পানি পড়ে জামা কাপড় নষ্ট হয়। আমরা মাঠে খেলতে পারিনে পানি জমে থকার কারণে।
প্রধান শিক্ষক নাসরিন পারভীন বলেন, উপর থেকে সিলিং এর প্লাস্টার খসে খসে শিক্ষার্থীদের শরীরের উপর পড়ছে। প্লাস্টার খসে পড়ার কারণে ছাদের রড দেখা যচ্ছে। বৃষ্টি হলে ছাদ রসে পনি পড়ে। পাঠ দানের পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে পাঠ দান করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইসমাইল হোসেনর সাথে কথা বললে তিনি জানান, হাসাদাহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমস্যার বিষয়ে আমি জানি। ওখানে শ্রেণি কক্ষের সংকট আছে। সে বিষয়ে মহাপরিচালক বরাবর একটা নতুর ভবনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। পুরাতন ভবন দ্রুত মেরামত করার জন্যও এবদন করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে টিন সেডের বিল্ডিংটি দ্রুত ব্যবহার উপযোগি করা হবে।