জীবননগর অফিস
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর এলাকার তেতুলিয়া গ্রামের শিহাবকে মিথ্যা ধর্ষণচেষ্টা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিতে জীবননগর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে শিহাবের পরিবার।
শিহাবের বাবা রফিকুল ইসলামের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে তার চাচা তরিকুল ইসলাম বলেন, শিহাবের বয়স মাত্র ১৬ বছর। তার বিরুদ্ধে যে ধর্ষণচেষ্টার মামলা দেওয়া হয়েছে সেটা মিথ্যা। মামলার পর তারা এজহারে যে রেস্টুরেন্টে ওই মেয়েকে চিকেন ও বার্গার খাওয়ানোর কথা বলা হয়েছে, সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে এমন কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। সেদিন শিহাবসহ তার বন্ধুরা সেখানে যায়নি। এছাড়া যে সড়কের কথা বলা হয়েছে, সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও এমন কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া মামলার এজহারে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেলে শিহাব ও তার দুই বন্ধু ছিল। পরে ওই মেয়েকেও মোটরসাইকেলে ওঠানো হয়েছিল। এক মোটরসাইকেলে চারজন যাওয়া কীভাবে সম্ভব? আর এজহারে উল্লেখিত ঘটনার দিন বুধবার জীবননগরে হাট ছিল। তারপরও এ ঘটনা কারও চোখে পড়েনি এটা কী সম্ভব? আবারও ওই মেয়ের চিৎকারও কেউ শোনেনি?
শিহাবের চাচা বলেন, বাদীর পরিবার মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, গত ১৩ জুলাই শিহাব ও তার বাবাকে বাদীর আত্মীয়-স্বজন মারধর করে। এরমধ্যে শিহাবকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেধে রেখেছিল। পরে গ্রামের কয়েকজন লোক তাদের উদ্ধার করে। তারা এই ঘটনার সঠিক বিচার চান এবং সাংবাদিক, পুলিশ ও প্রশাসনকে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী বলেন, আমার মেয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি আসছিল। এসময় আমার মেয়েকে শিহাবসহ তিন ছেলে আমার মেয়েকে রয়েল পার্কে নিয়ে যেয়ে বার্গার আর চিকেন খাইতে দিয়েছে। এরপর আমার মেয়েকে বাঁকার রাস্তার ওই দিকে একটা বাড়ি আসে সেখানে নিয়ে গেছে। আমার মেয়ে বাড়ি এসে এসব কথা বলেছে।
এ বিষয়ে রয়েক ক্যাফের মালিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভুক্তভোগী ছাড়াও পুলিশ সদস্যরা আমাদের এখানে এসেছিল। সিসি ফুটেজে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাদের আসা-যাওয়ার কোনো ফুটেজও ধরা পড়েনি। যেই টেবিলের কথা বলা হচ্ছে সেই টেবিলেও একটি ক্যামেরা ছিল, সেই ক্যামেরায়ও তাদের দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ওই মাদ্রাসাছাত্রী ঘটনার বিষয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।
জীবননগরে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় শিবাবকে ফাঁসানোর অভিযোগ



