দর্শনা অফিস
দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কাজে ফিরলেন দর্শনা পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে পৌর প্রশাসক কে. এইচ. তাসফিকুর রহমানের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ ও আশ্বাসে তারা পুনরায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে যুক্ত হন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও অন্যান্য দাবিদাওয়ার প্রেক্ষিতে কর্মবিরতিতে থাকা পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সঙ্গে আজকের আলোচনাটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফলপ্রসূ। পৌর প্রশাসকের মানবিক ও দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি আলোচনাকে সুষ্ঠু সমাপ্তির দিকে নিয়ে যায়। গত শনিবার থেকে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করে পরিছন্নকর্মীরা।
অন্যান্য পৌরসভায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়- জীবননগর পৌরসভায় পরিছন্নকর্মীদের দৈনিক হাজিরা ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, চুয়াডাঙ্গা ১ম শ্রেণীর পৌরসভায় দৈনিক হাজিরা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, আলমডাঙ্গা পৌরসভায় মাসিক বেতন ২ হাজার ৫ শত টাকা থেকে ৬ হাজার পযর্ন্ত। সেই ক্ষেত্রে দর্শনা পৌরসভার সুইপারের বেতন দৈনিক ৩০০ টাকা যা অন্যান্য পৌরসভা থেকে বেশী।
আলোচনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সাজেদুল আলম, দর্শনা পৌরসভার অফিস প্রধান রুহুল আমিন খান, দর্শনা পৌর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরফিন হোসেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম,দর্শনা পৌরসভার কনজারভেন্সি সুপারভাইজার আব্দুর রাজ্জাক। পরিচ্ছন্ন কর্মীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রতন বাশপোড়, সোনি, দিলীপ, বাবুলালসহ প্রমুখ।
পৌর প্রশাসক কে. এইচ. তাসফিকুর রহমান বলেন, “শহরের সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাদের দাবি নিয়ে আলোচনা করে যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। আশা করি, এই সমঝোতার মাধ্যমে শহরের জনজীবন আবারও স্বাভাবিক হবে।”
এদিকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের খবরে স্বস্তি ফিরেছে পৌরবাসীর মাঝে। ময়লা-আবর্জনায় জর্জরিত শহরের চিত্র বদলাতে শুরু করেছে সকাল থেকেই। স্থানীয়রা মনে করছেন, প্রশাসন ও কর্মীদের মধ্যে এই সমঝোতা ভবিষ্যতের সংকট এড়াতে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।