স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ব্যবসায়ী লালচাঁদ সোহাগ হত্যাকাণ্ডসহ সারাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো। গতকাল রোববার বিকেলে সাহিত্য পরিষদ চত্বর থেকে মিছিলটি বের হয়ে কোট মোড় হয়ে বড়বাজার হাসান চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে জেলা ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, জাসাস ও ওলামা দলসহ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের শত শত নেতাকর্মী অংশ নেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। খুলনায় যুবদল নেতা মাহাবুব মোল্লা এবং চাঁদপুরে এক ইমামের ওপর বর্বর হামলার ঘটনায় রাষ্ট্রের নীরবতা উদ্বেগজনক। তারা এসব ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।”দেশনায়ক তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা মেনে নিতে না পেরে একটি চিহ্নিত মহল তাকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তারা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির উত্তরসূরি।”তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “তারেক রহমান ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য বরদাশত করা হবে না। আবারও এমন ঘটনা ঘটলে চুয়াডাঙ্গা থেকে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। তখন কেউ পালানোর সুযোগও পাবে না।”
বক্তারা আরো বলেন, “বিএনপি একটি জনভিত্তিক দল। জনগণের অধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী যদি দুর্নীতিতে জড়ায়, দল তা কখনো প্রশ্রয় দেবে না।” প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনি এবং সঞ্চালনা করেন জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমুল হাবিব সেলিম। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম পিটু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, সিনিয়র সহসভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুর রশীদ ঝন্টু, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তরফদার সাবু ও পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান মুক্ত।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ, যুবদলের অর্থ সম্পাদক মো. মোমিনুর রহমান মোমিন, সহসম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মতিউর রহমান মিশর, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান মালিক, জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা আনোয়ার হোসেন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন হাসান কাকন, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ, সহসভাপতি খন্দকার আরিফ ও মুক্ত, যুগ্ম সম্পাদক নাইম আহমেদ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এম.এ. হাসান এবং পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুবেল হাসান প্রমুখ।