দৈনিক আজকের চুয়াডাঙ্গা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর জীবননগর সড়কের আবর্জনা অপসারণ শুরু

জীবননগর অফিস

জীবননগরে অবশেষে অপসারণ করা হলো সড়কের পাশে থাকা সেই ময়লার ভাগাড়। সম্প্রতি দৈনিক আজকের চুয়াডাঙ্গা পত্রিকায় আবর্জনার বিষয় সংক্রান্ত সংবাদ ফলাও করে প্রকাশিত হলে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এবং জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। গতকাল বুধবার সকাল থেকে জীবননগর পৌরসভার  পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ভেকু দিয়ে আবর্জনা অপসারণের কাজ শুরু করেন।

দীর্ঘদিন ধরে জীবননগর -দত্তনগর সড়কের পাশে পৌরসভার সকল বর্জ্য  ফেলায় স্থানটি একটি স্থায়ী ভাগাড়ে পরিণত হয়েছিল। বিশেষ করে  তীব্র দুর্গন্ধে সাধারণ ছাত্র ছাত্রী, স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী এবং পথচারীরা চরম দুর্ভোগে ছিলেন, যা পুরো এলাকাকে অস্বস্তিকর করে তুলেছিল। এরপর গণমাধ্যমে বিভিন্ন পত্রিকার শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রশাসন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ডালিম হোসেন বলেন, “কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা সকাল থেকে দীর্ঘদিনের জমে থাকা এই আবর্জনা পরিষ্কার করছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পুরো এলাকা পরিচ্ছন্ন করা হবে।

এই পদক্ষেপের বিষয়ে জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও পৌর প্রশাসক সৈয়দজাদী মাহাবুবা মঞ্জুর মৌনা গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, “সংবাদমাধ্যমের বদৌলতে আমরা বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ধরনের গঠনমূলক সহযোগিতা আমাদের কাজকে সহজ করে। আমরা জীবননগরকে একটি সুন্দর ও আধুনিক পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও তিনি বলেন, এটি আমাদের রুটিন কাজের অংশ। তবে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বিষয়টি বাড়তি গুরুত্ব পায় এছাড়াও তিনি বলেন আমি অল্প সময়ের মধ্যে জীবননগরের সুশীল সমাজকে নিয়ে বসবো সেই সাথে গঠনমূলক আলোচনার মধ্যে দিয়ে আবর্জনা ফেলার একটি নির্দিষ্ট ও স্থায়ী জায়গা নির্বাচন করব।

এদিকে ভাগাড়টি অপসারিত হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে সেই সাথে বইছে খুশির বন্যা।

স্থানীয়  বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, “আবর্জনাগুলো সরিয়ে ফেলায় আমরা পৌর প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞ আশা করি, পরিচ্ছন্নতার এই ধারা অব্যাহত থাকবে।”

এছাড়াও পথচারী আফজাল হোসেন বলেন, আজ আমরা অনেক খুশি। দীর্ঘদিন যাবত এ রাস্তায় ময়লার স্তূপ থাকার কারণে আমাদের চলাচলের অনেক অসুবিধা হতো অবশেষ কর্তৃপক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়ায় ধন্যবাদ। এই পদক্ষেপে মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে। এদিকে আবর্জনা অপসারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পদ্মপুকুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এবং জীবননগরের কৃতি সন্তান মুন্সি নাসির। তিনি তার ব্যক্তিগত ডোবা পুকুর যেটি নারায়ণপুর গ্রামের শেষ প্রান্তে  ইটভাটার সামনে অবস্থিত সেখানে পৌরসভার আবর্জনা ফেলার অনুমতি প্রদান করে।

আর এ বিষয়ে মুন্সি নাসির বলেন, জীবননগর পৌরবাসীর  দীর্ঘদিনের আবর্জনার সমস্যা আমার নজরে আসে। বিশেষ করে এই আবর্জনা ফেলার কোন নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় আমি আপাতত আমার নিজ ছোট ডোবা পুকুরে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছি। এরপর জীবননগর পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন সম্মিলিতভাবে নির্দিষ্ট জায়গা তৈরি করলে তখন তারা সেখানে ফেলবে। আপাতত জমি না পাওয়ার আগ পর্যন্ত আমার জমিতে ফেলার অনুমতি দিয়েছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *