স্টাফ রিপোর্টার
“দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই” এ প্রতিপাদ্যকে ধারন করে চুয়াডাঙ্গায় তিন দিনব্যাপী ফল মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চত্বরে বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর আয়োজনে মেলায় দেশী-বিদেশি বিভিন্ন জাতের ৬ টি স্টল রয়েছে। পরে অতিথিরা মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন। এর আগে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের কবরী রোড ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
ফল উৎসবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার, অতিরিক্ত উপ পরিচালক কৃষ্ণ রায়, দেবাশীষ কুমার দাস, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিন বিনতে আজিজ, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার রেহেনা পারভিন, জেলা দুনীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার ভূমি আশিস মমতাজ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহবায়ক আসলাম হোসেন অর্ক, মুখ্য সংঘঠক সজিব হোসেন প্রমুখ।

পরে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, আপনারা দেখেছেন চুয়াডাঙ্গার উৎপাদিত নানান জাতের ফলের সমাহার নিয়ে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যেকটা ফলই চুয়াডাঙ্গার মাটিতে উৎপন্ন হয়েছে। মেলায় আসবেন চুয়াডাঙ্গার ফল সম্পর্কে আপনাদের ধারনা হবে। মেলার মাধ্যমে দেশবাসী চুয়াডাঙ্গার ফল সম্পর্কে ধারনা লাভ করবে। মেলায় দেশীয় প্রজাতির অনেক ফল স্থান পেয়েছে। যেটা আমরা অনেকে দেখি নাই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের খরিপ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন পেঁয়াজ, রোপা আমন, নারিকেল, তাল, গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি, আম, নিম, বেল, জাম, কাঁঠাল প্রভৃতি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করা হয়। ২৪- ২৬ জুন পর্যন্ত মেলা সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ৬টি স্টলের মধ্যে ১ টি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ১ টি হটি কালচারের, ১ টি বেসরকারি সংগঠন, ১ টি কৃষি উদ্যোক্তা ও ২টি এনজিও সংগঠনের।