দর্শনা থানা পুলিশ ও থানা লোকমর্চার সহযোগিতায় তিনদিন পর নিজের সহধর্মীনিকে ফিরে পেলেন  দারাবুল

দর্শনা অফিস

দর্শনা থানাধীন বড়বলদিয়া গ্রামে ঈদে শশুর বাড়ীতে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে এসে শশুর বাড়ির লোকজন কতৃক হেনস্তার শিকার যুবক লোকমোর্চার সহযোগিতায় তিনদিন পর স্ত্রীকে ফিরে পেয়েছেন। 

জানা গেছে, দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের বড় বলদিয়া গ্রামের পূর্বপাড়ার মৃত মুনসুর  আলীর ছেলে দারাবুল ইসলাম তারই প্রতিবেশী প্রভাবশালী আনোয়ার হোসেনের মেয়ে রিমা খাতুন (২৭) এর সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তুলে  পরিবারের অমতে পোগনে মে বিবাহ করে মানিকগঞ্জে বসবাস করেছিলো। মেয়ে পরিবারের লোকজন ঈদুল আজহার আগে দারাবুল এর কাছে কল দিয়ে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক পারিবারিক ভাবে মেনে নিয়েছে জানিয়ে ঈদে গ্রামে চলে আসতে বলেন। দারাবুল সরল বিশ্বাসে বাড়িতে আসলে দারাবুল এর শশুর ও পরিবারের লোকজন তার স্ত্রীকে আটকে রেখে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এসময় দারাবুল এর স্ত্রীকে শারিরীক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করে জোর পূর্বক ডিভোর্স করানোর চেষ্টা করে। দারাবুল  উপান্তর না পেয়ে দর্শনা থানা লোকমোর্চাতে নিজ স্ত্রীকে শশুর বাড়ি থেকে উদ্ধারের জন্য আবেদন জানান। যেহেতু তারা প্রাপ্ত বয়স্ক,  তাই বিষয়টি আমলে নেন লোকমোর্চা।

এ বিষয় বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় দর্শনা থানা লোকমোর্চার সভাপতি প্রফেসর আজিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বুলেট এর নেতৃত্বে দর্শনা থানা লোকমোর্চার টিম দর্শনা থানায় উপস্থিত হয়ে ওসি শহীদ তিতুমীর সাথে ঘটনার বিস্তারিত আলাপ করেন। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টিতে যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখায় এবং তিনি মেয়ের বাড়ীতে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধারে সহযোগিতা করার জন্য পুলিশের একটি টিম লোকমোর্চা টিমের সাথে দেন।

দর্শনা থানার এসআই ফাহিম তার সঙ্গীয় ফোর্স এবং দর্শনা থানা লোকমোর্চার সভাপতি প্রফেসর আজিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক দর্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমম্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট  সহ থানা কমিটির  সহ-সভাপতি নারী নেত্রী কামরুন নাহার রানী শাহ, সাংবাদিক এফ,এ আলমগীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , দর্শনা থানা যুবদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন লিটন, সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক মাহমুদ হাসান রনি , ওয়েভ ফাউন্ডেশন এর  সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল আলীম সজল সহ বড়বলদিয়া গ্রামে মেয়ের বাড়ীতে যায়।

সেখানে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে শতাধিক নারি পুরুষ হাজির হয়। মেয়ের পরিবারের লোকজন উত্তেজিত হলেও  লোকমোর্চার টিম সদস্যরা বিষয়টি ঠান্ডা মাথায় মেয়েকে উদ্ধার করে তার স্বামীর কাছে ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ করে এবং  এসময় মেয়ের ছোট বোন এসে মেয়েটার কানের দুল, নাকের ফুল, হাতের সোনার চুড়ি ও পায়ের সেন্ডেল খুলে নেয়।
এত কিছুর পরও মেয়েটার মুখে যেনো মুক্তির স্বাদ ফুটে উঠেছিলো।

তাকে উদ্ধার করে সভাপতি  প্রফেসর আজিজুর রহমান   মেয়েটার জুতা ও পোশাক কেনার টাকা দেন।  থানায় এনে আইনগত বিষয়  শেষে ওসি শহীদ তিতুমীর  সকলকে মিষ্টিমুখ করান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *