আলমডাঙ্গায় মানবপাচার ও অবৈধ পথে বিদেশে যাওয়ার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সভা সন্তানকে বিদেশে পাঠানোর আগে জানতে হবে কোথায়, কীভাবে, কোন কাজ করতে যাচ্ছে পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা

আলমডাঙ্গা অফিস
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মানব পাচার ও অবৈধ পথে বিদেশে যাওয়ার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরিতে এক আলোচনা সভা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই সভার আয়োজন করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মাওলা, বিপিএম (সেবা)। সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদুর রহমান
সভায় পুলিশ সুপার বলেন, ‘অনেক বাবা-মা সন্তানকে বিদেশে পাঠাতে গিয়ে জমি বিক্রি করেছেন, ধারদেনা করে সর্বস্ব হারিয়েছেন। কেউ ৫ লাখ দিয়েছে, পরে দালালদের চাপে আরও ২০ লাখ দিতে বাধ্য হয়েছে। সন্তানকে জিম্মি করে টাকা আদায় করা হচ্ছে। তারপরও আইনগতভাবে কিছু করা যাচ্ছে না, কারণ অধিকাংশ সময় কোনো লিখিত প্রমাণ থাকে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘দালালরা বলে, চুপিচুপি টাকা দেন তাহলেই ভিসা হবে। অথচ পরে বিপদে পড়লে কেউ আর পাশে থাকে না। তখন ওই বাবা-মা আমার অফিসে এসে কান্নাকাটি করেন। কিন্তু আমার হাতে থাকে না কিছু করার। আপনাদের সচেতন হতে হবে। সন্তানকে বিদেশে পাঠানোর আগে জানতে হবে কোথায়, কীভাবে, কোন কাজ করতে যাচ্ছে।’ পুলিশ সুপার বৈধ উপায়ে, জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে যেতে উৎসাহ দেন। বলেন, ‘যেতে হলে বৈধ পথে যান, প্রশিক্ষণ নিয়ে যান। অবৈধভাবে যাওয়া মানেই বিপদ ডেকে আনা।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, ডাউকি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদার আলী, জামজামি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পলাশ আহম্মেদ, নাগদাহ ইউনিয়নের শাহিন উদ্দিন, সমাজসেবক রায়হান উদ্দিন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রায়হান মেম্বার, ঝন্টু মালিথা, আহসান হাবীব এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হারুন অর রশিদ। আলোচনা সভায় বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন কিছু ভুক্তভোগী পরিবার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আলমডাঙ্গা থানার তদন্ত কর্মকর্তা আজগর আলী।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *