দর্শনা অফিস
দর্শনা থানাধীন ছয়ঘরিয়া গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে রিয়াদ হোসেন (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে এই হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত রিয়াদ হোসেন ছয়ঘরিয়া গ্রামের কৃষক জিয়াউর রহমানের ছেলে এবং দর্শনা মেমনগর বিপ্রদাস (বিডি) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, পুলিশের দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা ও দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ মো. তিতুমীর ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। এলাকায় শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। আসামীর স্ত্রী ও মা আটক।
পুলিশ, গ্রামবাসি ও নিহতের পরিবার জানান, দর্শনা থানার ছয়ঘরি গ্রামের মৃত বাইতুল্লার ছেলে হযরত আলি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তের ওপারে গিয়ে চুরি ছিনতাই চোরাচালান ও মাদক পাচারের সংঙ্গে জড়িত ছিল। ২০২৪ সালের শেষের দিকে রুপা চোরাচালান ও আটককে কেন্দ্র করে ছয়ঘরি গ্রামে দর্শনা থানার এক পুলিশকে মারপিট করে হাত ভেঙে দেয়। এরপর গ্রামে বীর দর্পে চলাচল করার সুবাদে কেউ কিছু বলতে সাহত দেখায় না। ঘটনার আগের একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত বালক রিয়াদের পিতা জিয়া কাজির সাথে তার ঝামেলা হয়। সোমবার দুপুরে বিষয়টি যাচাই বাছাই করতে প্রথমে হযরত আলির মা নিহত বালক রিয়াদ এর বাড়ির সামনে আসে। প্রথমে জিয়া কাজিকে হুমকি ধামকি দেয়, কিছুক্ষণ পরেই হযরত আসে। আসার পরপরই দায়ের উল্টা পিট দিয়ে নিহত রিয়াদের বাবা জিয়াকাজিকে মেরে আহত করে। পরে বালক রিয়াদ হোসেন (১২) বাবাকে ঠেকাতে গেলে রিয়াদের গলায় বড় হাসুয়া দিয়ে কোপ দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে দর্শনা থানায় নিয়ে আসে। মুল আসামী পালিয়ে গেলেও এলাকাবাসি আসামির স্ত্রী সুমাইয়া ও মা ফাহিমাকে পাশ্ববর্তি মদনা মাঠ থেকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
দর্শনা থানার ওসি শহিদ তিতুমির জানান, লাশ থানায় আনা হয়েছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে।
সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা জানান, প্রধান আসামিকে আটক করতে দর্শনা থানা পুলিশ ও ডিবি মাঠে কাজ করছে। সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা পিপিএম সেবা দর্শনা ছয়ঘরি গ্রাম ও নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করেন। এ সময় নিহতের স্বজনদের শান্তনা দেন। আজ মঙ্গলবার ময়না তদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ জানায়।