দামুড়হুদা প্রতিনিধি
দামুড়হুদার জয়রামপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে বাপ ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫ টার সময় ভুক্তভোগী দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
এজাহার সুত্র জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর মালিথা পাড়ার আঃ মজিদের ছেলে আরিফুল বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখিত বিবাদীরা হলো আঃ মজিদ (৫৫), আজিত (৪৫), উভয় পিতা- মৃত লালু মন্ডল, ছাদিক (২৬), সবাই জয়রামপুর গাতিরপাড়া বাসিন্দা।
এজাহারে উল্লেখ করেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ উল্লেখিত আসামীদের সাথে আমাদের বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধের কারণে কিছুদিন যাবৎ আসামীরা আমাদের’কে বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিয়ে আসিছিল। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫ টার দিকে দামুড়হুদা থানাধীন জয়রামপুর রেল ষ্টেশন থেকে মোটরসাইকেল যোগে আমি ও আমার পিতা আক্তার হোসেন (৬০) বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা করি এবং জয়রামপুর রেল ষ্টেশন বাজার সংলগ্ন আকবর এর বাড়ীর গেটের সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছানো মাত্রই উক্ত বিরোধের জের ধরে উল্লেখিত আসামীগণ সহঅজ্ঞাতনামা আসামীরা বে-আইনী জনতাবদ্ধ হয়ে হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের পথরোধ করে ১নং আসামীর হুকুমে ৩নং আসামী ছাদিক এর হাতে থাকা ধারালো রামদা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় স্বজোরে কোপ মারলে আমার মাথার মাঝখানে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। ৬নং আসামী নয়ন এর হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথা লক্ষ্য করে স্বজোরে আঘাত করলে আমি আমার ডান হাত দিয়ে ঠেকাইলে আমার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও কনুইয় হাড়চটা গুরুতর জখম হয়। আসামীদ্বয়ের আঘাতে আমি মোটরসাইকেল সহ রাস্তায় পড়ে গেলে ১ ও ২নং আসামীর হাতে থাকা পেরেক লাগানো কাঠের বাটাম দিয়া আমাকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে।
আমার পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ও নীলাফোলা জখম করে। মারপিট দেখে আমার পিতা আক্তার হোসেন (৬০) ঠেকাইতে গেলে ৫নং আসামী নাঈম হোসেন এর হাতে থাকা ধারালো দাঁ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার পিতার মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারলে আমার পিতা উক্ত কোপ তার বাম হাত দিয়ে ঠেকাইলে তার বাম হাতে কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। ৪নং আসামী মুছা এর হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার পিতার মাথায় উপর্যুপরি কোপমারে। তার মাথার একাধিক জায়গায় গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। একপর্যায় ১,২ ও ৬নং আসামী সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা একযোগে আমাদের’কে এলোপাতাড়ী মারপিট করে।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে ও আমার পিতার চিকিৎসার জন্য দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখে এবং আমার পিতার শরীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেই মোতাবেক আমার পিতাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার আমার পিতা’কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
আরিফুল বলেন, আমার পিতা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আমার পিতার অবস্থা ভালোনা। মাথায় অনেক কোপানো হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে আমি কিছুটা সুস্থ্য হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন (ওসি) হিমেল রানা বলেন, এজাহার পেয়েছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।