মেহেরপুর অফিস
মেহেরপুরের গাংনীতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার ইলিয়াস হোসেনের খুনি সবুজ আহম্মেদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকবাসী। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইলিয়াস হোসেন গাড়াবাড়িয়া গ্রামের অত্যান্ত ভদ্রলোক হিসাবে পরিচিত। গত বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বড় ভাইয়ের জামাতা উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের মইনাল হোসেনের ছেলে সবুজ আহম্মেদ তাঁর স্ত্রী সালমা খাতুনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশ করে। তাকে বাধা দিতে গেলে চাচা শ্বশুর ইলিয়াস হোসেনকে সে ছুরি দিয়ে হত্যা করে। সবুজ আহম্মেদ ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সবুজ আহম্মেদকে ফাঁসি দিতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, এলাকাবাসীর একটিই দাবি পুলিশ বিভাগকে অবশ্যই হত্যাকারি সবুজ আহম্মেদের পরিবারের সকল সদস্যকে গ্রেফতার করতে হবে। আইনের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে হত্যাকাণ্ডের শিকার ইলিয়াস হোসেনের সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। তা না হলে সমাজে এইরকম বর্বর হত্যাকেণ্ডের শিকার হতে হবে সাধারণ মানুষকে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, কাথুলী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফেরদৌস ওয়াহেদ, শিক্ষক রহিদুল ইসলাম, কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুল ইসলাম, স্থানীয় বিএনপি কর্মী কুদ্দুস আলী, জাব্বারুল ইসলাম, তাজলু ইসলামসহ শতাধিক গ্রামবাসী।
নিহতের ভাই মাবুদ হোসেন বলেন, হত্যাকারি সবুজ আহম্মেদ আমার বড় ভাইয়ের মেয়েকে বিয়ের পর থেকে নির্যাতন করে আসছে। নির্যাতনে মাত্রা দিনে দিনে বেড়েছে। গত মাসের ২৪ তারিখে সালমাকে হত্যা করার জন্য তাদের বাড়ির তিন তলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো সবুজ। এর পর সালাম শ্বশুরবাড়ি ছেলে এখানে চলে আসে। সবুজ নিয়মিত মাদক সেবন করে। সালমাকে হত্যা করতে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। তাকে প্রতিহত করতে গিয়ে আমার ছোট ভাই ইলিয়াস হোসেন হত্যা হয়। এর সুষ্ঠু বিচার ও দ্রুত বিচার আমরা চাচ্ছি। সবুজের বাবা প্রভাবশালী ব্যাক্তি। অর্থ খরচ করে মামলা খারিজ করে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে। মানববন্ধন থেকে পুলিশ বিভাগকে আহবান করা হচ্ছে দ্রুত সবুজ আহম্মেদের বাবা, মাসহ এজহারভুক্ত সকল আসামিকে গ্রেফতার করতে হবে। তা না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে গ্রামের সাধারণ জনগণ।
উল্লেখ্য: গত বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটায় অভিযুক্ত সবুজ আহম্মেদ তাঁর শ্বশুর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী সালমা খাতুন ও সন্তানকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ছুরি নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে। তাকে প্রতিহত করতে গিয়ে হত্যার শিকার হন চাচা শ্বশুর ইলিয়াস হোসেন। পরে গ্রামবাসী সবুজকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।