অনলাইন ডেস্ক
ভারত মঙ্গলবার মধ্যরাতে আজাদ কাশ্মীর ও পাকিস্তানের অন্য জায়গায় হামলা চালানোর পর পাকিস্তানের বিমানবাহিনী তাৎক্ষণিক পাল্টা হামলা শুরু করে। এ সময় ফ্রান্সের তৈরি অত্যাধুনিক তিনটি রাফেলসহ ভারতে পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়।
পাকিস্তানের এ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ সময় আকাশে দুই দেশের যুদ্ধবিমানের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে ডগ ফাইট (সম্মুখ লড়াই)। আর এ যুদ্ধকে আধুনিক সময়ের সবচেয়ে ‘বড় এবং দীর্ঘ ডগ ফাইট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের ১২৫টি যুদ্ধবিমান পাল্টা হামলায় অংশ নেয়। তবে দুই দেশের কোনো বিমানই একে অপরের অংশে প্রবেশ করেনি।
তিনি বলেছেন, পাকিস্তান ও ভারতীয় বিমানের মধ্যে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।
২০১৯ সালেও দুই দেশের যুদ্ধবিমানের মধ্যে ডগফাইট হয়েছিল। সেবার এক ভারতীয় বিমান নিজেদের ভূখণ্ডে ভূপাতিত করেছিল পাকিস্তান।
ওই সময় অভিনন্দন নামে এক পাইলটকে আটক করে তাকে টিভির সামনে আনা হয়েছিল। তবে দুই দেশের কেউই এবার এমনটি চায়নি। তাই কোনো দেশই তাদের পাইলটদের সীমান্ত অতিক্রম করতে অনুমোদন দেয়নি।
এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পাকিস্তানে আঘাত হানতে ভারতের বিমানকে একাধিকবার চেষ্টা করতে হয়েছে। এ সময় সম্ভাব্য হামলাস্থলের সাধারণ মানুষকে যথাসম্ভব সতর্ক করার চেষ্টা করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
এতে তারা হতাহতের সংখ্যা অনেকটা কমিয়ে আনতে সমর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের ওই কর্মকর্তা।
পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ও গুলিবর্ষণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছে ৫৭ জন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম দিয়ে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার পর পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থাপনায় এই হামলা চালায় ভারত।
এদিকে, পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরে বৃহস্পতিবার সকালে বিস্ফোরক-বোঝাই একটি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। লাহোরের ওয়ালটন বিমানবন্দরের কাছে ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়।