স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গায় সদ্য যোগদানকৃত নবাগত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলামকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এসময় সংবর্ধিত অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাঈদ মাহমুদ শামীম রেজা ডালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নবাগত জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম। জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আহাসান আলীর সঞ্চালনায় সংবর্ধনা সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যনালের বিচারক ( জেলা ও দায়রা জজ) সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল কুমার বিশ^াস বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংবর্ধনা সভায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১) আল আমিন মাতুব্বর , অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) মোক্তাদির আলম, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (১) ওয়াশিম রেজা , যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (২) শম্পা বসু, সিভিল জজ (জীবননগর) নাসির হুসাইন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১) আলিফ রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (২) ইয়াসমিন নাহার, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৩) তৌহিদুল ইসলাম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১) লাভলী নাজনিন এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (২/৩) মোস্তফা জামান এবং আইনজীবীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা সভায় পাবলিক প্রমিকিউটর (পিপি) মারুফ সরোয়ার বাবু, সরকারি কৌশুলী (জিপি) আব্দুল খালেক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এমএম শাহজাহান মুকুল, সাবেক সভাপতি সেলিম উদ্দিন খান ও নুরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম রফিউর রহমান, সৈয়দ হেদায়েত হোসেন আসলাম, আবুল বাশার, আ.স.ম. আব্দুর রউফ, তালিম হোসেন ও ফজলে রাব্বী সাগর, সিনিয়র আইনজীবী আব্দুস সামাদ, শহিদুল হক (২) বজলুর রহমান , ইউনুস আলী, নাজমুল হাসান লাভলু ও মানি খন্দক্ার ব্ক্তব্য রাখেন।
সভায় আইনজীবীরা বলেন, আইনজীবীরা আইনের মধ্যে থেকে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা করার কথা স্মরণ করে দেন। টিনের ছাপড়ার মধ্যে বসে আদালতের কার্যক্রম করা হয়। এজলাসে এসি নেই। বিষয়টি প্রধান বিচারপতি মহোদয়কে অবহিত করে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেপট আদালত ভবন নির্মাণের উদ্যোগ করার কথা জানানো হয়।
সংবর্ধিত প্রধান অতিথি নবাগত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গভীর শ্রদ্ধার সাথে চুয়াডাঙ্গা বারের আইনজীবীদের স্মরণ করছি। বিগত ১৩০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বার। এ বারটিকে তিলে তিলে গড়ে এ অবস্থায় নিয়ে এসেছেন। সুযোগ্য বিচারক ভাই-বোনদের নিয়ে সংবর্ধিত হয়েছি। আপনারা যে পরিমাণ ভালোবাসা দেখিয়েছেন, আমিও আপনাদের ভালোবাস দিলাম। চাওয়া পাওয়া, দুঃখ কষ্ট, আনন্দ বেদনায় অবকাঠামো নেই। আমাদের আন্তরিকতার ঘাটতি থাকবে না। বিকেল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত আমি শুনানী করবো। আমার সময়কালে চেষ্টা করবো, যতটুকু সম্ভব কষ্ট দূর করা। নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তোলা। ২১৭ জন আইনজীবী আছেন। ন্যায় বিচার দেয়া চেষ্টা করবো। আমরা আইনের বাহক। মামলার বিষয়টা দেখবো। অবকাঠামো বিষয়টা দেখবো। ন্যায় বিচারের কোন বিকল্প নেই। আমরা ইমাম সাহেব। কোর্টে অভিযোগ বক্স স্থাপন করবো। কোন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বললো তিনিও এ ব্যবস্থা করবেন। আইনের চর্চার বাইর গিয়ে কেউ যদি কিছু করেন, আমি সেটা দেখবো।



