স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: শরীফুজ্জামান শরীফের ধানের শীষের প্রচারণা এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। আন্দোলন-সংগ্রাম, জেল-জুলুম ও নিপীড়ন সহ্য করে মাঠে থাকা এই ‘শক্ত প্রার্থীকে’ মনোনয়ন দেওয়ায় ধানের শীষের সমর্থক ও নেতা-কর্মীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ, যা তাঁর প্রতিটি গণসংযোগকে মুহূর্তেই উৎসবে পরিণত করছে। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে একটিমাত্র গাড়িতে দু’একজনকে সাথে নিয়ে বের হলেও, আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নে তাঁর গণসংযোগে যোগ দিতে শত শত নেতা-কর্মী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে ভাংবাড়িয়ার প্রবেশ মুখে উপস্থিত হন। এই স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মুহূর্তেই উৎসবের রূপ নেয়।
গণসংযোগে মনোযোগ দেওয়ার আগে শরীফুজ্জামান শরীফ তাঁর কর্মীদের প্রতি তাঁর সংবেদনশীলতা দেখান। তিনি ভাংবাড়িয়া গ্রামে সরাসরি একজন অসুস্থ কর্মীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর খোঁজখবর নেন, যা নেতা-কর্মীদের মধ্যে এক গভীর আবেগ ও আস্থার জন্ম দেয়। এরপর তিনি খাদিমপুর ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে গিয়ে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছান। ধানের শীষের প্রার্থীকে এত কাছে পেয়ে সাধারণ মানুষ আবেগে আপ্লুত হন। তাঁরা নিজেদের সুখ-দুঃখের কথা অকপটে বলেন। মো: শরীফুজ্জামান শরীফ মনযোগ দিয়ে তাঁদের কথা শোনেন এবং আশ্বাস দেন। তাঁর এই সংযোগই প্রমাণ করে, তাঁর প্রচারণা নিছক রাজনৈতিক নয়, এটি জনগণের দুঃখ-কষ্ট মোচনের এক আন্তরিক প্রচেষ্টা।
গণসংযোগকালে মো: শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘আমার ভাই ও বোনেরা, এই যে জনতার ঢল, এই স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসা—এটাই আমাদের আসল শক্তি! আমি শুধু একা মনোনয়ন পাইনি, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রতিটি সংগ্রামী নেতা-কর্মী ও সমর্থক এই মনোনয়ন পেয়েছেন। আপনারা গত ১৭ বছর ধরে যে মামলা, হামলা সহ্য করেছেন, যে রক্ত ঝরিয়েছেন, এই বিজয় তারই স্বীকৃতি!
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমান পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, এখন আর পিছিয়ে থাকার সময় নেই। আমরা কেবল ক্ষমতা চাই না, আমরা রাষ্ট্রের প্রতিটি কাঠামোর মেরামত চাই। আমাদের ৩১ দফা হলো এই দেশের কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক মুক্তির দলিল। আমি আপনাদের মাঝে এসেছি এই মুক্তির বার্তা দিতে। আপনারা আর ভয় পাবেন না। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, এই দুঃসময়ে যারা আমাদের পাশে ছিল, বিজয়ী হওয়ার পর সরকার গঠন করলে তাদের সব কষ্টের জবাব দেওয়া হবে। আপনাদের অংশগ্রহণই ধানের শীষের বিজয় বার্তা দিচ্ছে। এখন শুধু প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধভাবে ভোট পর্যন্ত মাঠে থাকা।
তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন শুধু প্রতীক বদলের নির্বাচন নয়, এটি আপনাদের জীবনের পরিবর্তন আনার নির্বাচন। আমাদের ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার রূপরেখা হলো আমাদের মুক্তির দলিল। আমি আপনাদের কাছে এসেছি সেই ৩১ দফার বার্তা নিয়ে। আপনারা আর ভয় পাবেন না। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকুন। শহীদ জিয়ার আদর্শ এবং তারেক রহমানের নির্দেশ মেনে আমরা সকলে মিলে এই নির্বাচনে ধানের শীষকে বিজয়ী করে আনব।’
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মো: শরীফুজ্জামান শরীফের সাথে গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব ও বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোবারক হোসেন, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও চিতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ছালাম বিপ্লব, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ সরোয়ার রোমান, জেলা যুবদলের সহ-সাধারন সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন হাবলু,শফিউল হক সালাম, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক হামিদ উদ্দিন বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম হাসান টুটুল, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী আলম বাবু, সাবেক ছাত্রনেতা হাসিবুল ইসলাম,খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেরেগুল ইসলাম বিশ্বাস, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মো: লালন শেখ, যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান, মহাসিন আলী, মিরজাক আলী, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এস এম হাসান, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রুবেল হাসান, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক অপু মালিক, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক কৌশিক আহমেদ রানা, সদস্য সচিব মাজেদুল আলম মেহেদী, যুবদল নেতা মাখাউল, মামুন, তুশারসহ বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।



