স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফের ধানের শীষের প্রচারণার ধরনই পাল্টে দিচ্ছে নির্বাচনী হাওয়া। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে হলেও তিনি যে এলাকায় যাচ্ছেন, সেখানেই জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ তাঁর প্রচারণাকে পথসভা, জনসভা বা শোভাযাত্রার রূপ দিচ্ছে। প্রিয় নেতাকে ঘিরে সাধারণ মানুষের আবেগ, আস্থা ও ভালোবাসার এই বাঁধনই তাঁর গণসংযোগকে প্রতিদিন উৎসবে পরিণত করছে।
গতকাল শনিবারও বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন বিএনপি নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ। প্রিয় নেতার আসার খবর পেয়ে ইউনিয়নটির যাদবপুর গ্রামের নারী ও পুরুষেরা তাৎক্ষণিকভাবে এক পথসভার আয়োজন করে। গণসংযোগের ফাঁকে সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি। বিকাল চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত তিনি জিবনে, ভুলটিয়া, হাসনহাটি ও দশমী বাজারসহ বিভিন্ন গ্রামে সাধারণ মানুষের মাঝে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালান। এই সময় প্রিয় নেতাকে পাশে পেয়ে অনেকেই আবেগাপ্লুত হন, নিজেদের দুঃখ-কষ্টের কথা ব্যক্ত করেন।
শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘আমার ভাই ও বোনেরা, আপনারা যে ভালোবাসা ও আস্থা নিয়ে আজ এই বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে জড়ো হয়েছেন, এর ঋণ শোধ করার নয়। আমি আপনাদের কাছে কোনো গতানুগতিক আশ্বাস দিতে আসিনি। আমি এসেছি বিএনপির মুক্তির কর্মসূচী আপনাদের কাছে তুলে ধরতে। মনে রাখবেন, আমাদের এই কর্মসূচী কোনো রাজনৈতিক স্লোগান নয়, এটা আপনাদের দুঃখ মোচনের, আপনাদের অধিকার ফিরিয়ে আনার দলিল।
তিনি বলেন, ‘এইদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে আপনাদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে আপনাদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে। আমাদের ১০ দফা আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ হলো জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা। এরপর আমরা কী করব? তারেক রহমান ঘোষণা করেছেন ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার রূপরেখা। এই রূপরেখা বাস্তবায়িত হলে আপনাদের সন্তানের চাকরির জন্য আর হয়রানি হতে হবে না, কৃষক তার ফসলের ন্যায্যমূল্য পাবে, অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন সিন্ডিকেট ভেঙে দেবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। বিএনপি’র এই কর্মসূচীই আপনাদের মুক্তির একমাত্র পথ। আমি আপনাদের কাছে ওয়াদা করছি, ধানের শীষের বিজয় মানে আপনাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরে আসা।
এ সময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান লিপটন, যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুব হক মহাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মজিদ, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ সরোয়ার রোমান, জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক হাফিজ উদ্দিন হাবলু, জেলা মতসজিবি দলের যুগ্ম আহবায়ক ইকরামুল হক ইকরামুল, জেলা ছাত্রদের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি খন্দকার আরিফ, সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, নাইম আহমদ, ক্রীড়া সম্পাদক বিক্রম সাদিক মিলন, সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মতিউর রহমান মিশর, সদস্য সচিব মহলদার ইমরান রিন্টু, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন, সোহাগ রহমান, রমজান আলী, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাহাবুব হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খাজা মহিউদ্দিন, হাসিবুল ইসলাম, মনসুর আলী, আব্দুর রহিমসহ ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।



