চুয়াডাঙ্গায় আত্মবিশ্বাস’-এর ’স্মার্ট’ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার

চুয়াডাঙ্গায় আত্মবিশ্বাসের স্মার্ট প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শহরের আসমা প্যালেসে এ অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এনজিও সংস্থা ’আত্মবিশ্বাস’ এই প্রকল্প অবহিতকরণ সভার আয়োজন করে।

আত্মবিশ্বাসের নির্বাহী পরিচালক আকরামুল হক বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও আইসিটি ) নয়ন কুমার রাজবংশী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো: সাহাবুদ্দিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের প্রকাশক ও সম্পাদক আজাদ মালিতা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন, দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার সম্পাদক সরদার আল-আমিন। অনুষ্ঠানে শহরের সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, প্রান্তিক পর্যায়ের খামারি, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার শতাধিক মানুষসহ আত্মবিশ্বাসের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শুরুতেই প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রকল্পের ফোকাল পারসন ও পরিচালক রফিকুল হাসান জোয়ার্দ্দার এবং প্রজেক্ট ম্যানেজার ডা. আজিজুল হক। মূলত ঝঁংঃধরহধনষব গরপৎড়বহঃবৎঢ়ৎরংব ধহফ জবংরষরবহঃ ঞৎধহংভড়ৎসধঃরড়হ (ঝগঅজঞ) নামে নতুন একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে আত্মবিশ্বাস। চুয়াডাঙ্গা জেলায় যে সমস্ত প্রান্তিক খামারি আছেন তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে এবং তারা যেন পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করে উদ্যোক্তা হিসেবে আরো বেশি লাভবান হয় সেই চেষ্টা করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। দাতা সংস্থা পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতায় জেলার তিনটি উপজেলাতে বাস্তবায়িত হবে এই প্রকল্প। তিন বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের আওতায় দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারী যে সমস্ত প্রান্তিক খামারি আছেন তাদেরকে অনুদান ও লোন সহায়তা প্রদান করা হবে । এছাড়াও ৩৫ টি  খামার ও ১০ টি দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। 

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বর্ষীয়ান সাংবাদিক আজাদ মালিতা বলেন যে, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৃণমূল পর্যায়ের মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে আত্মবিশ্বাস নানা ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তবে এসব প্রজেক্টের মাধ্যমে যেন সত্যিকারের উপকারভোগীরা উপকৃত হয় এবং গুণগত মান বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান তিনি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো: সাহাবুদ্দিন আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন যে, ভৌগলিক কারণে চুয়াডাঙ্গা জেলা অনেক উর্বর এবং এই জেলাতে অনেক খামারি আছেন। স্মার্ট প্রকল্পের মাধ্যমে এইসব খামারিরা নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের করে আরো বেশি ব্যয় সাশ্রয়ী ও লাভবান হবেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও আইসিটি) নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, স্মার্ট প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিবেশ বান্ধব ও যুগোপযোগী। স্মার্ট প্রকল্পের যেসব অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা আছেন তাদের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের খামারিরা আরো বেশি দক্ষ ও অভিজ্ঞ হয়ে উঠবেন। নিজেদেরকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সেই সাথে প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার করেন এবং সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সহযোগী সংস্থার সাথে সমন্বয় করে মাঠ পর্যায়ে কাজ বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান তিনি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *