স্টাফ রিপোর্টার
তৃণমূলের মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন এবং তাঁদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হতে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে আটটায় আলমডাঙ্গা উপজেলার গাংনী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী আসমানখালি পানের হাটে ধানের শীষের পক্ষে ব্যাপক গণসংযোগ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ। সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে তিনি কেবল ভোট চাননি, বরং প্রতিটি পানের বরজ মালিক, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকের দৈনন্দিন কষ্ট মনোযোগ দিয়ে শোনেন। জন সাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি গণসংযোগকে মুহূর্তেই এক আবেগঘন মিলনমেলায় পরিণত করে।
সাধারণ মানুষের সাথে আবেগঘন আলাপচারিতার পর শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘আমার কৃষক ভাইয়েরা, আমার ব্যবসায়ী বন্ধুরা, আপনারা এই পানের বরজ নিয়ে যে কষ্ট করেন, যে ঘাম ঝরান-সেই ফসলের ন্যায্য দাম কি পান? পান না! কেন পান না? কারণ, দেশের অর্থনীতি আজ সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি। এই বাজারের আগুন, এই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এটাই হলো দুঃশাসনের ফসল! আপনাদের চোখে যে কষ্ট দেখছি, এটাই আমাকে প্রেরণা যোগায়।
তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই-আর ভয় নয়, এবার ন্যায়ের শাসন ফিরবে। আমাদের নেতা তারেক রহমানের ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার রূপরেখা হলো আপনাদের অর্থনৈতিক মুক্তির সনদ। আমরা ক্ষমতায় গেলে অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন করে কঠোর হাতে এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেব, যাতে এই আসমানখালি হাটের প্রতিটি পানের বরজ মালিক ও ব্যবসায়ী তার পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায়। আমাদের ১০ দফা আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, আর ৩১ দফা হলো সেই অধিকার দিয়ে দেশের অর্থনীতির মেরামতের অঙ্গীকার। আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষে ভোট দিন, আমরা আপনাদের দুঃখ দূর করে সুখের দিন ফিরিয়ে আনব।
গণসংযোগকালে শরীফুজ্জামান শরীফের সাথে উপস্থিত ছিলেন গাংনী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউর রহমান রেজু, সিনিয়র সহ-সভাপতি সেলিম রেজা, সহ-সভাপতি মাবিয়া ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক আইনাল, যুগ্ম সম্পাদক খোকন বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুর রহমান, অর্থ সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন, ইউনুস আলী। এছাড়াও ছিলেন জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও চিতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ছালাম বিপ্লব, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি খন্দকার আরিফ, যুগ্ম সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, পৌর ছাত্রদলের সদস্য শাহারুক আহমেদ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তানভীর আহমেদ সবুজ প্রমুখ। নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই গণসংযোগকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তোলে।



