জীবননগর অফিস
জীবননগর উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন) ড. মো. জামাল উদ্দীন। গতকাল রবিবার বিকাল ৩টায় উপজেলার সন্তোসপুর গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা জাহিরুল ইসলামের পেঁয়াজের ক্ষেত সরজমিনে পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে ১০টি ফসলের ওপর আমরা প্রণোদনা দেয়েছি। বাংলাদেশে এখন প্রায় আড়াই লক্ষ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়। বিগত বছরগুলতে আমরা পেঁয়াজ আমদানি নির্ভর ছিলাম। এর প্রধান কারন হলো আমাদের উৎপাদন কম ছিল ও আমাদের কৃষকেদের পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে গিয়ে ৩০-৩৫ ভাগ নষ্ট হয়ে যেতো। পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য আমরা সরকারের পক্ষ থেকে দুইটি উদ্যোগ গ্রহণ করছি। একটি হলো প্রণোদনা কর্মসূচীর মাধ্যমে পেঁয়াজের আবাদ বাড়ানো, আরেক টি হলো পেঁয়াজ সংরক্ষণের জন্য আমরা আধুনিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন দেশে এখন পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। কৃষকের নিজস্ব সংরক্ষিত পেয়াজ দিয়ে বর্তমানে বাজার নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরের প্রথমদিকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ বাজারে চলে আসবে। আমরা আশা করি আমাদের আর পেয়াজ আমদানি করতে হবে না।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান সরকার, জীবননগর কৃষি কর্মকর্তা মো.আলমগীর হোসেন,কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পাভেল রানা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইয়াছিন আলী।



