স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গায় খুচরা সার বিক্রেতাদের ডিলারশিপ বহালের দাবি জানিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ খুচরা সার বিক্রেতা অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, খুচরা সার বিক্রেতা অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি একরামুল হক সোহেল, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি ইব্রাহিম কুদ্দুস ও সহ-সভাপতি উমর আলী। এর আগে বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম. সাইফুল্লাহ’র হাতে স্মারকলিপি তুলেদেন ও দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার এর নিকট স্মারকলিপি জমাদেন।

খুচরা সার বিক্রেতারা স্মারকলিপিতে জানান, দেশের কৃষি উপদেষ্টার সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে খুচরা সার বিক্রেতাদের লাইসেন্স স্থগিত করার ঘোষণায় তাদের মধ্যে চরম হতাশা ও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের প্রায় ৪৪ হাজার খুচরা সার বিক্রেতা রয়েছেন। আমরা দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কৃষকের দোরগোড়ায় ন্যায্যমূল্যে সার পৌঁছে দিচ্ছি। ব্যাংক ঋণ ও নিজস্ব পুঁজিতে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করে কৃষকদের কাছে বাকিতে সার বিক্রি করি। এই পেশার ওপরই আমাদের জীবিকা নির্ভর করে। খুচরা সার বিক্রেতাদের সনদ স্থগিত হলে দেশের ৫কোটি কৃষক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। চাষাবাদের মৌসুমে কৃষকদের কাছে সার পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে, যা জাতীয় কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমরা সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত, উপজেলা কৃষি অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষরিত লাইসেন্সধারী খুচরা সার বিক্রেতা। সরকারী কোষাগারে জামানত জমা দিয়ে, সরকার ঘোষিত মূল্যে সার বিক্রয়ের মাধ্যমে কৃষকের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। অথচ আজ আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। রাষ্ট্র যখন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার কথা, সেখানে আমাদের কর্মহীন করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যা দুঃখজনক। লাইসেন্স বাতিল করা হলে লাখ লাখ কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে, গ্রামীণ অর্থনীতি বিপর্যস্ত হবে।



