কেডিকে প্রতিনিধি
রবি মৌসুমে সার সংকটে দিশেহারা হয়েছে প্রান্তিক কৃষকরা। খোলা বাজারেও বেশি দামে মিলছে না সার, ফলে চাষাবাদে দেখা দিয়েছে চরম বিপর্যয়। কৃষকদের অভিযোগ প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি বরাদ্দ খুবই কম, ফলে চাহিদা কোনোভাবেই মেটানো যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে এ অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন হুমকির মুখে পড়তে পারে।
জানা গেছে, জীবননগর উপজেলায় ধান, কলা ও আগাম শীতকালীন সবজি চাষের পাশাপাশি বাগান ফসল যেমন ড্রাগন, মাল্টা ও পেয়ারা চাষ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভালো ফলনের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত সার, কিন্তু সরবরাহ সংকটের কারণে কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জীবননগর উপজেলার কে.ডি.কে ইউনিয়নের মেসার্স হাফিজ এন্টারপ্রাইজে সার সংগ্রহের জন্য ভোর ৬টা থেকেই কৃষকদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে টি.এস.পি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) সার বরাদ্দ ১৯৪ বস্তা। তবে এর তুলনায় তিনগুণ কৃষক সার নিতে উপস্থিত থাকেন।
অতিরিক্ত ভীড়ের কারণে সার বিতরণে হিমশিম খেতে হয় বিক্রেতা ও কৃষি কর্মকর্তাদের। তবে উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানের উপস্থিতিতে প্রান্তিক কৃষকদের শ্রেণিবিন্যাস করে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রয় করা হয়। কৃষকরা ভোটার আইডি কার্ড জমা দিয়ে ওয়াড ভিত্তিকভাবে সার সংগ্রহ করেন। ধান চাষি, বাগান চাষি ও অন্যান্য ফসলচাষিদের আলাদাভাবে শ্রেণিবিন্যাস করে সার সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। প্রান্তিক কৃষকদের দাবি, সারের বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করা এবং বাস্তব চাহিদা নির্ধারণে সঠিক জরিপ চালানো জরুরি। এতে করে যার যতটুকু প্রয়োজন, সে ততটুকু সার পাবে ফলে ফসল উৎপাদন স্বাভাবিক থাকবে এবং কৃষকরা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন।