চুয়াডাঙ্গার সাতগাড়িতে পুকুরের পানিতে ডুবে অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থীর করুণ মৃত্যু এলাকায় শোকের ছায়া

স্টাফ রিপোর্টার

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়িতে পুকুরের পানিতে ডুবে রাকিব (১৪) নামের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে সাতগাড়ির হযরত আলীর পুকুরে গোসল করতে নেমে এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত মো: রাকিব চুয়াডাঙ্গা শহরের এতিমখানাপাড়ার প্রবাসী মো: সেলিমের ছেলে।  সে এম. এ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ‘ক’ শাখার মেধাবী ছাত্র ছিলো। তার রোল নাম্বার ছিলো এক।

পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুর ১টার দিকে রাকিবসহ তার কয়েকজন বন্ধুরা মিলে পার্শ্ববর্তী সাতগাড়ি এলাকায় হযরত আলীর পুকুরে গোসল করতে যায়। গোসল করতে নেমে রাকিব সাতার না জানায় পানিতে ডুবে যায়। পরে সহপাঠিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

নিহত রাকিবের প্রতিবেশি খাজির আহমেদ জানান, চুয়াডাঙ্গা শহরের সাতগাড়ি নামক এলাকায় নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে রাকিব। দুপুরের দিকে বন্ধুদের সাথে নানা বাড়ির পাশে অবস্থিত পুকুরে গোসল করতে নামে। রাকিব  পুকুরে গোসল করার এক ফাঁকে তলিয়ে যায়। বিষয়টি রাকিবের অন্য বন্ধুরা টের পেলে খোঁজা খুঁজির পর রাকিবকে পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় । এ সময় এলাকাবাসী সহায়তায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর  হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা যায়, নিহত রাকিবের পিতা সেলিম মালেয়েশিয়া প্রবাসী। নিহত রাকিব তার দাদীর সাথেই থাকতো। গতকাল সকালেই তার নানা বাড়িতে বেড়াতে যায় সে। সেখানে গিয়েই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার স্বীকার হন তিনি।

চুয়াডাঙ্গা এম এ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, রাকিব অত্যান্ত মেধাবী ছাত্র ছিলো। ক্লাসে সে ফার্স্ট বয় ছিলো। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকহত।

জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইসরাত জেরিন জেসি বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই রাকিবের মৃত্যু হয়েছে। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ  (ওসি) খালিদুর রহমান বলেন, বিষযটি শুনেছি, সদর হাসপাতালে পুলিশ কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে এবং সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *