স্টাফ রিপোর্টার
‘জলাতঙ্ক নির্মূলে, কাজ করি সবাই মিলে’ এ শ্লোগানকে ধারন করে চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর থেকে এক শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি সরকারি কলেজ রোড ঘুরে আবার একই স্থানে এসে শেষ হয়।
পরে জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপ পরিচালক ডা. আ, হা, ম শামিমুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। চুয়াডাঙ্গা ছাগল উন্নয়ন খামারের ব্যবস্থাপক সাদ্দাম হোসেন কি নোট উপস্থাপন করেন। তাতে বলা হয় জলাতঙ্ক হলো একটি মারাত্মক ও প্রাণঘাতী ভাইরাল রোগ। এটি স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে থাকে। আক্রান্ত প্রাণীর লালা এবং তরল পদার্থের মধ্যে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা জল দেখে খুব ভয় পায়। আক্রান্ত স্থান ১০/১৫ মিনিট ধরে ভালো করে ধৌত করতে হবে এবং ক্ষার জাতীয় কোন জিনিস দিয়ে পরিস্কার করতে হবে। বেজি, কুকুর, বিড়াল, শিয়েল, বাদুড়ের মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায়। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪/৫ লাখ মানুষ এসব প্রাণী দ্বারা আত্রান্ত হয়। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে জলাতঙ্ক নির্মূলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা হাদি জিয়া উদ্দিন আহমেদ। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুন্সি আবু সাইফের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ভ্যাটেনারী অফিসার ডা. আতিবুর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জীবননগর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার সাইফুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, খামারী মতিউর রহমান, বখতিয়ার হামিদ, মোস্তাক আহমেদ। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস এম মাহামুদুল হক।
প্রধান অতিথি ডা. হাদি জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, জলাতঙ্ক রোগকে কিভাবে নির্মূল করতে হবে সেটা আমাদের ভাবতে হবে। বেওয়ারিশ কুকুরগুলোকে ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনতে হবে। জলাতঙ্ক রোগ হলে মৃত্যু নিশ্চিত। গত বছর দেশে ১৫০ জন মানুষ জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।