আলমডাঙ্গা কুমারী ও কালিদাসপুরে এবি পার্টির রানা – নতুন রাজনীতির ডাক

আলমডাঙ্গা অফিস

চুয়াডাঙ্গা-১ (চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ভোটযুদ্ধ এখন গরম হতে শুরু করেছে। মাঠে নেমেছেন পুরোনো দলগুলোর প্রার্থীরা, সেই সঙ্গে আলোচনায় এসেছেন নতুন রাজনৈতিক শক্তির প্রতীকও। এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (দপ্তর) এবং সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা তার প্রতীক ঈগল মার্কা নিয়ে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫) আলমডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন ও কালিদাসপুর ইউনিয়নে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন।

গ্রাম বাংলার আঁকাবাঁকা রাস্তা, জনাকীর্ণ হাট-বাজার কিংবা পল্লীর সাধারণ মানুষের উঠান— সব জায়গায়ই তিনি পৌঁছে যাচ্ছেন এক ধরনের আত্মবিশ্বাস নিয়ে। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন, শোনার চেষ্টা করছেন তাদের সমস্যা আর আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা।

রানা তার গণসংযোগে বলেন,
“দেশে দায় ও দরদের নতুন রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য এবি পার্টি মাঠে নেমেছে। আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি— নাগরিকের সমস্যা, বিশেষ করে কৃষক, শ্রমজীবী ও তরুণ সমাজের সমস্যার সমাধানই হবে আমাদের প্রধান কাজ। ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিখাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।”

তার বক্তব্যে উঠে আসে জনগণের জন্য রাজনীতির নতুন সংজ্ঞা—
“রাজনীতি হবে জনগণের কল্যাণে, দখল বা লুটপাটের জন্য নয়। এবি পার্টি প্রমাণ করবে, বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি কেমন হতে পারে। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, আমরা সেই পরিবর্তনের জন্য জনগণের পাশে আছি।”

গণসংযোগের পথে-পথে মানুষজন তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অনেকেই তার হাত ধরে বলেছেন, “ঈগল মার্কায় ভোট দেব।” গ্রামীণ নারীরা উঠানে দাঁড়িয়ে শুভকামনা জানিয়েছেন, তরুণরা মোবাইল ফোনে তার ছবি তুলেছেন, আবার কেউ কেউ ভবিষ্যতের প্রত্যাশা ঝরিয়েছেন সহজ ভাষায়— “এবার যদি সত্যি আমাদের কৃষকের কষ্ট লাঘব হয়!”

আলমডাঙ্গার গ্রামীণ জনপদে এবি পার্টির এই গণসংযোগ তাই শুধু প্রচারণাই নয়, বরং নতুন এক সম্ভাবনার আভাস। রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ে এবি পার্টি কতদূর এগোতে পারবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা তার প্রচারণায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন— এবি পার্টি ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন হবে “সবার জন্য”, কোনো দলীয়করণ থাকবে না।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *