স্টাফ রিপোর্টার
সাবেক শিক্ষার্থী ও সাবেক সহকারী শিক্ষক সেলিনা খাতুনকে বিদায় সংবর্ধনা দিলেন আলুকদিয়া রোমেলা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা একাডেমির আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেই তিনি চলে যান তার চিরচেনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলুকদিয়া রোমেলা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে। যেখানে কেটেছে তার শৈশব, কৈশোর ও পেশাগত(শিক্ষকতা) জীবনের ২২টি বছর। বিদ্যালয় চত্বরে ঢোকার সাথে সাথে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকগণ ও কর্মচারীরা ফুলেল শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন। শিক্ষকমন্ডলী ও কর্মচারীদের এমন আনন্দঘন পরিবেশে ফুলেল শুভেচ্ছা দেওয়া দেখে ওই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরাও ছুটি আসেন এ বিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষককে শুভেচ্ছা জানাতে। কচিকাঁচা ও ছোটদের হাত থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা নিতে নিতে আবেগে আপ্লুত হয়ে তাদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরেন সেলিনা খাতুন। আবেগ সামলিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি নারী শিক্ষকগণ সেলিনা খাতুনের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে স্মৃতিচারণ করে অশ্রুসিক্ত হন।
স্মৃতির পাতা হাতড়াতে চলে আসেন চুয়াডাঙ্গা শহরের কেদারগঞ্জ এলাকায়। যেখানে বার্ধক্যের ভারে ভারাক্রান্ত আলুকদিয়া রমেলা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর সাবেক প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তি যোদ্ধা ওয়ালিউল্লা সিদ্দিক। সাবেক এই গুণী শিক্ষককে ফুলেল শুভেচ্ছা দেন। এরপর চলে আসেন চুয়াডাঙ্গা চাঁনমারি মাঠ সংলগ্ন কোর্ট পাড়ার বাসিন্দা চুয়াডাঙ্গা একাডেমির সাবেক শিক্ষক বর্ষিয়ান সাংবাদিক মাহাতাব উদ্দিনের বাসায়। মাহতাব উদ্দিনের হাতেও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে অশ্রু ঝরান সেলিনা খাতুন। কারণ ২০০২ সালের ১লা সেপ্টেম্বর চুয়াডাঙ্গা একাডেমির এই বর্ষিয়ান শিক্ষক মহাতাব উদ্দীনের অবসরের পরেই তার পদেই পদায়িত হয়েছিল সেলিনা খাতুন।