পিআর পদ্ধতি চালুসহ পাঁচ দফা দাবিতে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর-ঝিনাইদহে জামায়াতের বিক্ষোভ ও সমাবেশ

জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন, সংসদের উভয় কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক) পদ্ধতি চালুসহ পাঁচ দফা দাবিতে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর-ঝিনাইদহে জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্টদের বিচার দৃশ্যমান করা ও জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ

স্টাফ রিপোর্টার

‘ভয় পাবোনা দাপটে, জবাব দিবো ব্যালটে’ এ শ্লোগানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের মুক্ত মঞ্চের সামনে থেকে জেলা জামায়াতের আমীর রুহুল আমিনের নেতৃত্বে জুলাই ঘোষণা, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ ৫ দফা  দাবীতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আমীর ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী রুহুল আমিন, জেলা সেক্রেটারী অ্যাড. আসাদুজ্জামান, সহকারী সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেল, পৌর জামায়াতের আমীর অ্যাডভোকেট হাসিবুল ইসলাম, সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর বেলাল হুসাইন, ইসলামী ছাত্র শিবিরের জেলা সভাপতি সাগর আহমেদ, ইউনিট  সদস্য আব্দুর রউফ ও শ্রমিক কল্যাণ বিভাগের সভাপতি কাইমুদ্দিন হিরোক প্রমুখ।

                  আলমডাঙ্গা অফিস জানিয়েছে, জামায়াতের আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার উদ্যোগে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেল ৪টায় উপজেলা মঞ্চে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা গেট থেকে শুরু হয়ে চারতলা মোড়, হাজী মোড়, আলিফ উদ্দিন রোড, হাই রোড প্রদক্ষিণ করে এরশাদ মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় পক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা, অবাধ-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।

আলমডাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের আমীর প্রভাষক শফিউল আলম বকুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি শেখ নূর মোহাম্মদ হুসাইন টিপু, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলতাফ হুসাইন ও আইন ও আদালত বিষয়ক সম্পাদক দারুস সালাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন- “জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন ছাড়া বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হবে না।”

উদ্বোধনী বক্তব্য দেন পৌর শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি সাহিন শাহিদ ও পৌর আমীর মাহের আলী। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন কুমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, পৌর যুব সভাপতি সাইফুল্লাহ হুসাইন, পৌর নায়েব আমীর জুলফিকার আলী, উপজেলা দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জিএ সেক্রেটারি কামরুল হাসান সোহেল ও উপজেলা যুব সভাপতি তরিকুল ইসলাম।

আলমডাঙ্গা উপজেলা সেক্রেটারি মুহা. মামুন রেজা উপাস্থাপনায় আরোও উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি বিলাল হোসাইন, কুমারী ইউনিয়ন আমীর আবুবকর সিদ্দিক বাবলু, কালিদাসপুর আমীর আসাদুল হক, ডাউকি আমীর সজিবুর রহমান, জামদানি আমীর ফজলুল হক, বেলগাছি ইউনিয়ন সভাপতি আমান উদ্দিন, নাগদাহ ইউনিয়ন আমীর ডাক্তার রিপন বিশ্বাস, আইলহাস ইউনিয়ন আমীর লিয়াকত আলী, খাসকররা ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আব্দুল লতিফ, জেহালা ইউনিয়ন আমীর প্রভাষক হুমায়ুন কবির, হারদি ইউনিয়ন আমীর গিয়াস উদ্দিন ও বাড়াদি ইউনিয়ন আমীর জাহাঙ্গীর আলমসহ ইউনিয়নের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।

                  দর্শনা অফিস জানিয়েছে, জামায়াতে ইসলামী দর্শনা থানা শাখার উদ্যোগে গতকাল বাদ আসর বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দর্শনা বাসষ্ট্যান্ড থেকে শুরু করে মিছিলটি রেলবাজার, রেলগেট, পুরাতন বাজার, থানা মোড়, ইসলাম বাজার, রেলইয়ার্ড হয়ে রেলবাজারস্থ শহীদ শাহরিয়ার মুক্ত মঞ্চে এসে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

দর্শনা থানা আমীর মাওলানা রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা মো: আজিজুর রহমান ও জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী আব্দুল কাদের।

এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আবু জার গিফারী, অধ্যাপক খলিলুর রহমান, দর্শনা থানা নায়েবে আমীর মাজহারুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, দামুড়হুদা যুব জামায়াতের সভাপতি মাওলানা আব্দুল খালেক, দর্শনা পৌর আমীর মোঃ সাহিকুল আলম অপু, মদনা ইউনিয়ন আমীর হাফেজ শহিদুল ইসলাম, কুড়ুলগাছী  ইউনিয়ন আমীর সদেকীন, বেগমপুর ইউনিয়ন আমীর মোশারফ হোসেন, নেহালপুর ইউনিয়ন আমীর লিটন মল্লিক, তিতুদহ ইউনিয়ন আমীর মো: রাফিজুল ইসলাম, গড়াইটুপি ইউনিয়ন আমীর মো: ইউনুচ আলীসহ সকল ইউনিয়ন সেক্রেটারী ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মো: আজিজুর রহমান পিআর পদ্ধতির ব্যাখ্যা দিয়ে বিএনপির বিরোধীতার কারন হিসেবে ৩টি প্রধান কারন উল্লেখ করে বলেন- পিআর বাস্তবায়ন হলে মনোনয়ন বাণিজ্য হবেনা, ভোটের সময় একবার ভোটারের পা ধরলেও ভোটার ধরবে ৫ বছর আর পেশী শক্তি প্রদর্শন করে ভোট নেয়ার কেউ থাকবেনা। এজন্য বলে পিআর খায় না গায় মাখে বুঝিনা। এক সময় তারা জামায়াতের দেয়া কেয়ারটেকার বুঝতো না, পরে আন্দোলনের মুখে বুঝেছিল এবার ইনশাল্লাহ বুঝবে। বিক্ষোভে দর্শনা থানা সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী যোগ দেয়ায় ক্ষণিকের জন্য দর্শনা মিছিলের শহরে পরিণত হয়। পথচারীরা মন্তব্য করেন অনেক ভচর এত বড় রাজনৈতিক মিছিল দর্শনাবাসী দেখেনি।

                  জীবননগরে অফিস জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে গতকাল বিকেল ৫টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কারণে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীকে দেশ ছাড়া করতে পেরেছি। তাই আমাদের পাঁচ দফা দাবি হলো জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে,আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় পক্ষে পি, আর পদ্ধতি চালু করা, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা,ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গনহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা সহ স্বৈরাচারের দোষর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে দেশের জনগণের সামনে সরকারের নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জীবননগর উপজলো আমীর মাওলানা সাজেদুর রহমান, নায়েবে আমীর সাখাওয়াত হোসেন, হাফেজ  বিল্লাল হোসেন, জীবননগর উপজলোর সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবু বকর, মাওলানা সাইদুল হক, আইটি সম্পাদক হারুন অর রশীদ, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি কামাল উদ্দীন, উপজেলা যুব বিভাগের সভাপতি মাজেদুর রহমান লিটন, হাসাদাহ ইউনিয়ন আমীর আখতারুজ্জামান, কেডিকে ইউনিযন আমীর আব্দুর রহমান, পৌর সেক্রেটারি ইব্রাহিম খলিল, হাসাদাহ ইউনিয়ন সেক্রেটারি লাল্টু মিয়া, শফিকুল ইসলাম, পৌর যুব সভাপতি আরিফুল ইসলাম জোয়ারদ্দার, যুবনেতা মোমিনল ইসলাম, আব্দুল মোতালেব, আবুল কালাম আজাদ, আতিয়ার রহমান, জহিরুল ইসলাম জাদু, মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, হাবিবুর রহমান তারিপ, জাহিদুর রহমান সম্রাট, জাহিদ হোসেন, এলাহী মন্ডল, আহাদ আলী ও আব্দুর রহমান মাস্টার প্রমুখ। এছাড়াও উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে মেহেরপুরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা জামায়াত ইসলামী। গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহরের কলেজ মোড়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সামসুজ্জোহা পার্কে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজ উদ্দিন খান। জেলা সেক্রেটারি ইকবাল হোসাইনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা মাহবুবুর রহমান, রাজনৈতিক সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল আমিন, পৌর আমীর সোহেল রানা ডলার, উপজেলা আমীর সোহেল রানা প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, “স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের রেখে যাওয়া ব্যবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।” তারা কেন্দ্রীয় ঘোষিত ৫ দফা দাবির মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, ফেব্রুয়ারির মধ্যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জোরালোভাবে উপস্থাপন করেন। নেতৃবৃন্দ ঘোষণা দেন, দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন ও কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

মুজিবনগর প্রতনিধি জানিয়েছ, গতকাল শুক্রবার বিকেলে মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ‎সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির হাফেজ মাওলানা ফিরাতুল ইসলাম নাঈম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। উপজেলার জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি খাইরুল বাসার।

‎সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলা শাখার আমির ও মেহেরপুর-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা তাজউদ্দীন খান। এছাড়া বক্তব্য রাখেন দারিয়াপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল হালিম, বাগোয়ান ইউপির আমির মাওলানা ফারুক হোসেন, মহাজনপুর ইউপি আমির আব্দুল হামিদ, মোনাখালি ইউপি আমির মোঃ মুখলেছুর রহমান, মুজিবনগর উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আবু তালহা, উপজেলা জামায়াতে সহকারী সেক্রেটারি মুস্তাফিজুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি ফজলুল হক গাজী, পেশাজীবি দলের সেক্রেটারি মোশাররফ হোসেন ও জামায়াতের বাইতুলমাল সেক্রেটারি আমির হোসেন। ‎সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল কেদারগঞ্জ বাজারসহ প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

                  ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঝিনাইদহ জেলা শাখা। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে জামায়াতে ইসলামী ঝিনাইদহ জেলা শাখার আয়োজনে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে একটি  বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পায়রা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানেই তারা এক সংক্ষিপ্ত  সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আলী আযম মোহাম্মদ আবু বক্কর, জেলা নায়েবে আমীর মো. আব্দুল আলীম, জেলা সেক্রেটারী মো. আব্দুল আওয়াল, শহর শাখার আমীর এডভোকেট মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন-সহ দলটির অন্যান্য নেতা কর্মীরা।

সমাবেশে  বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেছে তারাই দেশে নানা দুর্নীতি ও নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করে গেছে । দেশের মানুষ চায় পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হোক। একই সাথে বক্তারা আরও বলেন, আমরা যত ইসলামি দল আছে তাদের কে একসাথে নিয়ে রাজনীতি করব দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার জন্য। তারা শেখ হাসিনা-সহ আওয়ামীলীগ সরকারের দূর্ণীতি, গণহত্যা, আয়নাঘরে অত্যাচার-সহ গত ১৫ বছরে গুম-খুনের বিচার দাবী করেন ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *