স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গায় ৫২ তম জাতীয় আন্তঃস্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পর্যায়ের পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার গতকাল বুধবার ছিল সমাপনী দিন। সমাপনী দিনে চুয়াডাঙ্গা শিশু কিশোর সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সকাল ৯ টা থেকে সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। সদর উপজেলার ৪৪ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বালক বালিকাদের মধ্যে সাঁতার প্রতিযোগিতার ২৬ টি ইভেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা চলে দুপুর পর্যন্ত। এরপর চুয়াডাঙ্গা পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে দুপুর আড়াইটায় শুরু হয় বালক-বালিকাদের ফুটবল ফাইনাল ম্যাচ। বালিকা বিভাগের সরোজগঞ্জ ছাদেমান্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ১-০ গোলে চুয়াডাঙ্গা মালিক আব্দুল বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় কে পরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বালক বিভাগে সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩-০ গোলে চুয়াডাঙ্গা একাডেমীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রতিযোগিতা শেষে দলীয় খেলায় চ্যাম্পিয়ন-রানার আপ ও বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদেরকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম. সাইফুল্লাহ। চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার দিলআরা চৌধুরীর সভাপতিত্বে পরিষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথী ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) আশিক মমতাজ , উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক ও একাডেমিক সুপারভাইজার সোহেল আহমেদ।
চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান) রকিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও মাওলানা সিদ্দিকুর রহমানের পবিত্র কালামে পাক থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষক সমিতি সভাপতি ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি নূর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন স্বপন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সোহেল আহমেদ মালিক সুজন, জেলা ফুটবল দলের সাবেক ফুটবলার চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসা গভর্নিং বডির বিদ্যুৎসাহী সদস্য বিপুল হাসান হ্যাজি, চুয়াডাঙ্গা ক্লাবের স্পোর্টিং ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শহিদুল কদর জোয়ার্দ্দার।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম.সাইফুল্লাহ বলেন, যে সকল শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সৃজনশীল কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাদের মাথায় খারাপ চিন্তা প্রবেশ করতে পারে না। আমি চুয়াডাঙ্গাতে যোগদান করার পর প্রথমে ভেবেছিলাম এখানকার পরিবেশ ও জনগণ হয়তো অনুকূল হবে না। কিন্তু চুয়াডাঙ্গাতে আমার ১০ মাসের চাকুরী জীবনে সেটি সম্পূর্ণভাবে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তাই আমি বলতে পারি খেলাধুলা সহ বিভিন্ন সামাজিক দায়বদ্ধতা, সরকারি বেসরকারি কাজের মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আমি ভালো আছি। আমি এর আগেও তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসাবে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ইউনিয়ন কাপ ফুটবলের আয়োজন করেছিলাম। সেই আয়োজনে আমার সদর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার অহবাক কমিটির সদস্যরা প্রচন্ড পরিশ্রম করে সেই প্রতিযোগিতাটি সফল করেছিলেন।