চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রের বিরোধ তুলে নিয়ে গিয়ে একজনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

চুয়াডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তামিম ইসলাম তুর্য (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার বেলা দেড়টার দিকে শহরের মুক্তিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহত তামিম ইসলাম তুর্য চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে। পড়াশোনার সুবিধার্থে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার টিঅ্যাণ্ডটিপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করে আসছে।

                আহত তামিম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দশম শ্রেণির পরীক্ষা শুরুর আগে বসে ছিলাম। এ সময় আমি বলি, পরীক্ষার জন্য পড়া ঠিকমতো হয়নি, এ জন্য আমার মন খারাপ। এরপরই দুই এক কথায় আমাকে আমাদের ক্লাসেরই হামজা নামের একজন আমার মা তুলে গালিগালাজ করে। আমি প্রতিবাদ করি এবং ওর পিঠে একটি থাপড় দিই। এ নিয়ে আমাদের দুজনের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়।

                তামিম আরও বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরীক্ষার পর কেদারগঞ্জ পাড়ার  নিশান, আমান, রাজু, রাব্বি, সাজু, খালিদ, আলভিসহ কয়েকজন আমার উপর চড়াও হয়। আমাকে শহরের মুক্তিপাড়ার একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র চাপাতির উল্টো দিক দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করতে থাকে। এতে আমার মাথা ফেটে যায়। পরে আমার সহপাঠিরা আমাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

                উদ্ধারকারি এক সহপাঠী জানায়, কোন কারণ ছাড়ায় তামিমকে গালিগালাজ করে হামজা। গালির কারণ জানতে চাইলে উল্টো উত্তেজিত হয় হামজা বলে, গালি দিয়েছি তাতে কি হয়েছে? আমাকে মারবি নাকি?  পরীক্ষা থেকে বাইরে এসে  মাহির নেতৃত্বে তামিমকে স্কুলের সামনে থেকে মুক্তিপাড়ার একটি খেলার মাঠে তুলে নিয়ে যায়। আমরা পিছন পিছন গিয়ে দেখি আমার বন্ধুকে চাপাতির উলটো দিক দিয়ে মারছে তারা। এতে আমার বন্ধুর মাথা ফেটে যায়। মাহি দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছিল।

                জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইসরাত জেরিন জেসি বলেন, তামিমের মাথায় আঘাত হয়েছে। রক্তক্ষরণ হচ্ছিল যখন নিয়ে আসে জরুরি বিভাগে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।

                চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, আমি বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। দুই ছাত্রের মধ্যে প্রথমে গণ্ডগোল হয়েছিলো। এটার জের ধরেই এ ঘটনার সুত্রপাত। সন্ধ্যার দিকে আহত স্কুলছাত্র তার শিক্ষকদের সঙ্গে এসে মামলা করবে বলে জানিয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *