জীবননগর অফিস
অবশেষে জীবননগরে দৌলৎগঞ্জ স্থলবন্দর বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর শুধুমাত্র কাগজে থাকা বন্দর জীবননগরের দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দরটি বন্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বতী সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।
দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর বন্ধের খবরে সাধারণ মানুষের মাঝে তেমন প্রতিক্রিয়া না থাকলেও বিশেষ একটি গোষ্ঠির মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। তবে এই শুল্ক স্টেশন নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগরের “শ্যাম রাখি না কুল রাখি” নীতির কারণে জীবননগরবাসী প্রাণের স্থল বন্দরটি চালু হলো না।
দেশ ভাগের পর সারাদেশের সাথে জীবননগরে দৌলতগঞ্জ(বাংলাদেশ)-মাজদিয়া(ভারত) শুল্ক স্টেশনটি চালু হয়। দৌলতগঞ্জ-মাজদিয়া স্থলবন্দরটি ও শুল্ক স্টেশন ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় সারাদেশের সাথে এ স্টেশেনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। যুদ্ধের পর সব স্টেশন চালু হলেও এটি আর চালু হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে কাগজে কলমে স্টেশনের কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়। শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম চালু হওয়ার পরও অজ্ঞাত কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।
১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই ও ২০০৯ সালের ১১ জুন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রজ্ঞাপন জারীর মাধ্যমে সকল প্রকার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে। সেইসাথে ১৯টি পণ্য আমদানির অনুমতি প্রদান করে।
২০১৩ সালের ৩১ জুলাই দৌলতগঞ্জ শুল্ক স্টেশনটিকে গেজেট প্রকাশ করে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর ঘোষণা করা হয়। তৎকালীন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে দৌলৎগঞ্জ স্থলবন্দরের উদ্বোধন করেন। বাস্তবে আলোর মুখ দেখেনি দৌলৎগঞ্জ স্থলবন্দর।
বাস্তবে না হলেও শুধুমাত্র কাগজ কলমে চালু হয়েছিলো স্থল বন্দর। আবার কাগজের মাধ্যমেই হলো দৌলৎগঞ্জ স্থল বন্দরের অপমুত্যু।
উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ দেশের চারটি স্থলবন্দর পুরোপুরি বন্ধ রাখার সুপারিশ করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এই স্থলবন্দরগুলো হলো নীলফামারীর চিলাহাটি, চুয়াডাঙ্গার দৌলৎগঞ্জ, রাঙামাটির তেগামুখ ও হবিগঞ্জের বাল্লা।
জীবননগরের দৌলৎগঞ্জ স্থলবন্দর বন্ধ ঘোষণা
