আলমডাঙ্গা অফিস
আলমডাঙ্গা থানা সংলগ্ন হাইরোড এলাকার সিদ্দিকের মুদি দোকানে রাতের আঁধারে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে দোকানের পেছনের দরজার তালা ভেঙে চোরেরা ভেতরে প্রবেশ করে নগদ অর্থসহ বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
জানা গেছে, দোকানের ক্যাশবাক্সে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা, দামি ব্র্যান্ডের সিগারেট, মোবাইল ফোন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু মুদি পণ্য চুরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই দোকানটি পরিচালনা করে আসছিলেন মৃত ইচাহক আলির ছেলে সিদ্দিক, যিনি রাতভর দোকান খোলা রাখায় স্থানীয়দের কাছে পরিচিত মুখ।
একই রাতে পৌর শহরের মাদ্রাসা পাড়ার বাসিন্দা রমেশ কর্মকারের বাড়িতেও চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি, সিদ্দিকের দোকানের পাশেই থাকা ‘মিডিয়া ওয়াল্ড’ মোবাইল ফোনের দোকানে টিন কেটে প্রবেশের চেষ্টার আলামত পাওয়া গেছে, তবে সেখানে চুরি সফল হয়নি।
এদিকে সম্প্রতি পৌর এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি সফিকুল ইসলাম ও তার ভাই এনামুল হকের বসতবাড়িতেও চুরির ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই মাস আগে একই এলাকায় কাজলের দোকান থেকেও দেড় লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছিল।
স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, শহর ও গ্রামাঞ্চলে মাদকদ্রব্যের ভয়াবহ বিস্তার এবং মাদকাসক্ত যুবকদের দৌরাত্ম্যে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। তারা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
চোর শনাক্ত ও গ্রেফতারে এখনো পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি বলেও জানা গেছে। ঘটনাগুলোকে ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান (পিপিএম) জানান, সম্প্রতি চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাবার কারণে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। শিঘ্রই চোরচক্রের সদস্যদের আটক করা সম্ভব হবে।