আলমডাঙ্গার কৃতি সন্তান আব্দুল্লাহ হেল কাফি বাংলাদেশের অ্যাথলেটিকস অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র

আলমডাঙ্গা অফিস

আলমডাঙ্গার কৃতি সন্তান আব্দুল্লাহ হেল কাফি বাংলাদেশের অ্যাথলেটিকস অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যিনি খেলোয়াড় ও কোচ সম্প্রতি জাতীয় অ্যাথলেটিক্স দলের প্রশিক্ষকের দ্বায়িত্ব পেয়েছেন যিনি সাউথ এশিয়ান গেমস প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন যা আলমডাঙ্গার জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের। আব্দুল্লাহ হেল কাফি খেলোয়াড় ও কোচ উভয় ভূমিকায় অসাধারণ অবদান রেখেছেন। খেলোয়াড় হিসেবে সাফল্য ১৯৯৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১০.৫৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে দেশের দ্রুততম মানবের খেতাব অর্জন করেন কাফি। এই পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেন। কোচিং ক্যারিয়ার ও অবদান খেলোয়াড়ি জীবন শেষে কাফি কোচিংয়ে মনোনিবেশ করেন। তিনি ভারত, জার্মানি ও হাঙ্গেরি থেকে কোচিংয়ের উপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শরীরচর্চা শিক্ষা দপ্তরের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কোচ হিসেবে তিনি জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রশিক্ষণ ক্যাম্প-২০২৩-২৪-এ স্প্রিন্ট কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। তার প্রশিক্ষণে শিরিন আক্তার, জহির রায়হান, মেজবাহ আহমেদসহ গত দেড় দশকে প্রায় সকল স্প্রিন্টার তার হাতে তৈরি যাদের মধ্যে অনেক অ্যাথলেট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করেছেন।

স্বীকৃতি ও সম্মাননা ২০২৩ সালে ৪৭তম জাতীয় অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে তাকে “দেশসেরা কোচ” হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এছাড়া, তিনি বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের ফিটনেস প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করেছেন । বাংলাদেশের গর্ব আব্দুল্লাহ হেল কাফির অবদান বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনন্য। তার নেতৃত্বে ও প্রশিক্ষণে নতুন প্রজন্মের অ্যাথলেটরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করছেন। তিনি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের এক অমূল্য সম্পদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *