হাসান নিলয়, উথলী প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল আজহা সমানে রেখে জমজমাট হয়ে উঠতে শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারি পশুহাট। সাপ্তাহিক এই পশুহাটে দেখা গেছে ক্রেতা বিক্রেতারদের উপচে পড়া ভিড়। কুরবানির হাট উপলক্ষে খামারি ও কৃষকেরা তাদের গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন হাটে। কুরবানির গরু ক্রয়ের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুহাট।
গতকাল বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক শিয়ালমারি পশুহাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সাপ্তাহিক এই হাটে ক্রেতে বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও গরু কেনাবেচা তেমন বাড়েনি। অনেকেই হাট ঘুরে ঘুরে কুরবানির গরু ও ছাগল পছন্দ করে বেড়াচ্ছেন। কেউ আবার দরকষাকষি করছেন।
অধিকাংশ ক্রেতারা দেশি জাতের মাঝারি সাইজের গরু পছন্দ করছেন। ১ লক্ষ টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে গরু গুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় বড় গরু নিয়ে খামারিদের দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বিশেষ করে দুই লক্ষ টাকার বেশি দামের গরু গুলো কম বিক্রি হতে দেখা গেছে।
গরু বিক্রি করতে আসা খামারি সামাদ আলী বলেন, কুরবানির হাটে বিক্রি করবো বলে তিনটি গরু বাড়িতে পুষে আজ বিক্রি করতে নিয়ে এসেছি। গরু নিয়ে সকাল থেকে দাড়িয়ে আছি তেমন কেউ গরুর দামই জিগ্যেস করছে না। একজন পার্টি তিনটি গরু সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা দাম বলেছে। অথচ ২ মাস আগে এই তিনটি গরুর দাম বলেছিলো ৭ লক্ষ টাকা। বর্তমান বাজারে গরুর খুদ, ভূষি, বিচালির দাম অনেক বেশি। গরু তিনটি লালন পালন করতে যত টাকা ব্যয় হয়েছে তাতে করে এই দামে বিক্রি করলে অনেক টাকা লোকসান হয়ে যাবে। আরেক গরু বিক্রেতা শাহজামাল হোসেন বলেন, একটি দেশি জাতের গরু বাড়িতে লালনপালন করে আজ বিক্রি করতে নিয়ে এসেছি। হাটে আসার সাথে সাথে অনেকেই গরুর দামদর শুরু করে দেয়। আনুমানিক ৪ মনের ওজনের গরুটি ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি।
কুরবানির ছাগল কিনতে আসা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে একটা কুরবানির ছাগল কিনতে এসেছি। হাটে অনেক ছাগল এসেছে দেখছি। দামদরে যদি সস্তা মনে হয় তাহলে কিনবো তা না হলে আগামী সোমবার ডুগডুগি পশুহাট থেকে কিনবো। পশুহাটে ২ থেকে ৪ লক্ষ টাকা মূল্যের অনেক বড় গরু আমদানি হয়েছে। কিন্তু বড় গরু বিক্রি অনেক কম হতে দেখা গেছে। তবে ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকার মধ্যে গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গায় কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে শিয়ালমারি পশুহাট
