চুয়াডাঙ্গায় বোরো ধান কাটার মহোৎসব চলছে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

স্টাফ রিপোর্টার:

চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪ উপজেলায় শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার মহোৎসব। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছরে ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি কৃষকেরা। একসাথে মাঠের সব ধানগুলো কাটার উপযুক্ত হওয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শ্রমিকেরা। জেলায় ৩৫ হাজার ২৩৬ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে, এ থেকে উৎপাদন হবে ২ লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন ধান। তবে ধান কাটার ভর মৌসুমে শ্রমিক সংকট লেগেই রয়েছে। অপরদিকে আকাশে চলছে মেঘের ঘনঘটা। গত দুই দিন ধরে হালকা রোদ ও হালকা মেঘ বিরাজ করছে। গত রাতে জেলার বিভিন্নস্থানে এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় কালবৈশাখী আঘাত হানতে পারে। এ ভয়ে বৈরী আবহাওয়া আসার পূর্বেই চাষিরা তাদের ধান ঘরে তোলার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু শ্রমিক না পাওয়ার কারনে ধান ঘরে তুলতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে আর এক সপ্তাহের মধ্যে কৃষকের ধান কাটা শেষ হবে। ধানের পাশাপাশি এবার ধানের বিচালির খুব কদর রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার জনানা, চলতি বোরো মৌসুমে জেলার ৪ উপজেলায় ৩৫ হাজার ২৩৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। বোরো ধান আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিলো ৩৫ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে। বিঘা প্রতি ধানের ফলন হয়েছে ৩০/৩৫ মন হারে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ধান উৎপাদন হবে ২ লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন। ইতিমধ্যে মাঠের ৫৫ ভাগ ধান কাট হয়ে গেছে। সেগুলো ঝেড়ে শুকিয়ে কৃষকেরা বাড়ি নিয়ে এসেছে। আমরা কৃষকদের দ্রুত ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দিয়েছি। এলাকায় বোরো ধানের খড়ের/ বিচালির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিচালিসহ ধান কাটতে শ্রমিক বেশি লাগে। সেই কারনে কিছুটা শ্রমিকের চাহিদা রয়েছে। তবে কয়েকদিনের মধ্যে সেটা কেটে যাবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *