চুয়াডাঙ্গায় দুই দিনে তাপমাত্রা কমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

স্টাফ রিপোর্টার

চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ করেই নেমে এসেছে শীতের আমেজ। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে জেলার তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে শীতের প্রভাব স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে ভোরবেলা ও রাতে বেড়েছে হিমেল হাওয়ার সাথে ঠান্ডার তীব্রতা, ফলে প্রাতঃভ্রমণকারীরা পড়ছেন বিপাকে। শহর ও গ্রামীণ জনপদে গরম কাপড় বের করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

                চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রবিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন শনিবার ছিল ১৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি এবং শুক্রবার ছিল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, দুই দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা নেমেছে প্রায় ৫ ডিগ্রি।

                আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সকাল ও রাতে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্বও বাড়ছে। ভোরে রাস্তাঘাট ও ফসলের ক্ষেত কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে, আর উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বইছে হিমেল হাওয়া।

এদিকে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে-আগামী কয়েক দিনে চুয়াডাঙ্গা ও আশপাশের অঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। এতে শীতের তীব্রতা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শহর ও গ্রামের মানুষ এখন থেকেই গরম কাপড় ব্যবহার শুরু করেছেন। সন্ধ্যা নামলেই বাতাসে ঠান্ডার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে দিনমজুর, রিকশাচালক ও শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন।

অন্যদিকে, তাপমাত্রার এ পরিবর্তন কৃষি উৎপাদনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। শীতের প্রভাবে শাকসবজি ও মাঠের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কৃষকদের দাবী ফসল সুরক্ষায় আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কৃষি কর্মকর্তারাদের মাঠপর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে। যাতে কৃষকরা সময়মতো প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *