চুডাঙ্গার গাইদঘাটে রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ প্রয়োগ

স্টাফ রিপোর্টার

চুয়াডাঙ্গা সদরের গাইদঘাটে রাতের আঁধারে একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার রাতে সদর উপজেলার গাইদঘাট গ্রামে উজির মিয়ার পুকুরে দুর্বৃত্তরা বিষ প্রয়োগ করে। পরদিন থেকে মাছগুলো মরে ভেসে উঠতে শুরু করে। মরা মাছ দেখে পুকুর পাড়েই মাছ চাষী উজির মিয়া কান্নায় ভেঙে পড়েন।

জানা যায়, ৪ বছর আগে দেড় বিঘা জমি লিজ নিয়ে এই পুকুরটিতে মাছ চাষ শুরু করেন উপজেলার মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের গাইদঘাট গ্রামের শামসুজ্জোহার ছেলে উজির মিয়া। এ বছর পুকুরে প্রায় দেড় লাখ টাকার রুই, কাতলা, মৃগেল, তেলাপিয়া, গ্রাস কার্পসহ বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করছেন। আর কিছুদিন পর মাছগুলো বিক্রি করার কথা ছিলো।

ভুক্তভোগী উজির মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমি ৫০ হাজার টাকা কিস্তি তুলে ৪৬ হাজার টাকার মাছ পুকুরে দিয়েছি। তারপর আবার ৩৫ হাজার টাকার মাছ ছেড়েছি। এরপর গরু বিক্রি করে মাছ ছেড়েছি ৩২ হাজার টাকার। আমি আশা করেছি একবারে মাছ বিক্রি করে ঘর করবো। আমার আশা আকাংখা সব শেষ। আমি একেবারে নিঃশ্ব হয়ে গিয়েছি। এর আগেও আমার পুকুরে আরো একবার বিষ প্রয়োগ করা হয়। এতে আমার প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই মাছ বিক্রি করে ঘর নির্মাণ করতাম। আমার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।  এক নিমিষেই সব শেষ করে দিল আমার। এ ঘটনায় আমি সদর থানা পুলিশকে অবহিত করেছি।

ভুক্তভোগীর ভাতিজা দীননাথপুর গ্রামের নিবিড় মিয়া জানান, আমার চাচা উজির মিয়া ৪ বছর যাবত এখানে মাছ চাষ করে আসছিলেন, কে বা কাহারা গত রবিবার রাতে আমার চাচার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেন। এতে করে পুকুরের সব মাছ মরে যায়।  রবিবার সারা দিনে আমরা পুকুর থেকে ৫ বস্তা পঁচা মাছ তুলেছি। গতকাল সোমবার পুকুরে আরো ১০ বস্তা মতো মাছ মরে ভেসে আছে। উনি গরীব মানুষ একেবারে নিঃশ্ব হয়ে গেছেন। আমরা এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) খালিদুর রহমান বলেন, আমরা এই বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখার পর পুলিশ বাহিনী নিয়ে সরেজমিনে গিয়েছিলাম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *