স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর সীমান্তে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পাতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ৯১ জন বাংলাদেশি নাগরিকে হস্তান্তর করেছে। গতকাল শনিবার দর্শনা জয়নগর সীমান্ত দিয়ে ৩১ বাংলাদেশি ও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ও কাজিপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে পুরুষ, নারী ও শিশুসহ ৬০ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনা জয়নগর সীমান্ত দিয়ে ভারতে আটক ৩১ বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ফেরত আসা বাংলাদেশিরা বিভিন্ন সময় কাজের খোঁজে বা অন্য কারণে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। পরে তারা দেশটির বিভিন্ন এলাকায় আটক হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন। পরবর্তীতে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর ভারতীয় আদালতের নির্দেশে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হাসান জানান, ফেরত আসাদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৫ জন নারী ও তিনজন শিশু রয়েছে। তারা ভারতের বিভিন্ন কারাগারে দীর্ঘদিন আটক থাকার পর অবশেষে দেশে ফিরতে পেরেছেন।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাথুলী ও কাজিপুর সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে পুরুষ, নারী ও শিশুসহ ৬০ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গতকাল শনিবার দুপুরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যেমে তাদেরকে ফেরত দেওয়া হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সকালে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে কাথুলী ও কাজিপুর বিওপি সীমান্ত এলাকার প্রায় ১০০ গজ ভেতরে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ৬০ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। ফেরত আসা ব্যক্তিদের বাড়ি কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। তারা বিভিন্ন সময় দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতের অভ্যান্তরে প্রবেশ করেছিল। পরে বিএসএফ তাদের আটক করে এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা শেষে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। আইনি প্রক্রিয়া তাদের গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ভারত থেকে ফেরত আসা নাগরিকদের পরিচয় সনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।



