দামুড়হুদার জয়রামপুরে ৫বিঘা পুকুরে বিষ প্রয়োগ মৎস্য চাষী আলমের ক্ষতি ৬ লাখ টাকা, থানায় অভিযোগ

দামুড়হুদা অফিস

দামুড়হুদায় জয়রামপুর দিঘীর পাড়ার মৎস্য চাষী আলমের ৫ বিঘা পুকুরে রাতের আঁধারে কে বা কাহারা বিষ ট্যাবলেট প্রয়োগ করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে যে কোন সময় এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন দুষ্কৃতিকারীরা। এতে ওই মৎস্য চাষীর প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনা মৎস্য চাষী নিজেই বাদী হয়ে  নিজেই দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মৎস্য চাষী আলম অশ্রুসিক্ত কন্ঠে বলেন, আমার এত বড় ক্ষতি কে করল? আমি তো কারো ক্ষতি করিনি! যদি আমার উপর কারও রাগ থেকেই থাকেন তাহলে মাছের সাথে কেন, কিসের শত্রুতা।আমি ঋণ নিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করেছিলাম। শুক্রবার দিবাগত রাতে কে বা ক কাহারা আমার পুকুরে বিষ দিয়ে সকল মাছ বিনিষ্ট করেছে। পরদিন সকালে লোকমুখে জানতে পেরে পুকুরে এসে দেখি পানিতে আমার সকল মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এত আমার প্রায় ছয় লাখ টাকার টাকার ক্ষতি হয়েছে, এখন আমি কিভাবে পূরণ করব?
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দশমীপাড়ার ইউনুচ আলির ছেলে আলম জয়রামপুর দিঘি পাড়ায় ৫ বিঘা পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে উক্ত পুকুরে গিয়ে দেখে, কে বা কাহারা রাতের আঁধারে তার পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট ও বিষ প্রয়োগ করে সব মাছ মেরে ফেলেছে। ফলে মৃত অবস্থায় তার পুকুরের সকল মাছ ভেসে উঠেছে।এতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়।এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মরা মাছ দেখতে এলাকার উৎসুক জনতা ভিড় জামাই পুকুর ধারে।
স্থানীয়দের মতে, এই ধরণের কাজ যেই করুক না কেন তাকে শনাক্ত করে  সর্বোচ্চ আইনের আওতায় আনতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে আর কারো এমন ক্ষতি কেউ না করতে পারে।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডঃ মশিউর রহমান বলেন, বিষ প্রয়োগের ফলে যে মাছ মারা যায়। সেই মাছ খেলে স্বাস্থ্য হানি হতে পারে।যেহেতু মাছে বিষ বিদ্যমান থাকে, ফলে এ ধরনের বাস খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলায় ভালো।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ মেরে ফেলেছে এই মর্মে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিভাবে মাছ মারা গেছে এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *